সাধু ভাষা কাকে বলে? সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য, উদাহরণ,  জনক কে

সুপ্রিয় পাঠবৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের প্রতিদিন শিক্ষা রিলেটেড এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রতি দিন নতুন নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় আর এই আর্টিকেল টি তে সাধু ভাষা কাকে বলে এবং সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ে। যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের উক্ত পোস্টে পড়ুন আর বিভিন্ন তথ্য জানুন —

👉প্রশ্ন: সাধু ভাষা কাকে বলে??

👉 সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য??

👉সাধু ভাষার উদাহরণ?

👉সাধু ভাষার জনক কে??

👉সাধু ভাষায় কোন শব্দের প্রাধান্য বেশি,,, ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।

বাংলা ভাষাভাষী মানুষের ক্ষেত্রে ভাষা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও ভাষার বিভিন্ন রূপ ও প্রয়োগ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  এছাড়াও একজন বাংলাভাষী মানুষ হিসেবে সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য,, সাধু ভাষার উদাহরণ,, সাধু ভাষার জনক ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

সাধু ভাষা কাকে বলে

শব্দের প্রয়োগ বেশি এবং সর্বনাম ও ক্রিয়া পদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয় সে ভাষাকে সাধু ভাষা বলে। যেমন :- তাহাদের,  তাহারা, খাইয়াছি, করিয়াছি ইত্যাদি। সাধু ভাষারীতিতে শুধু লেখার কাজে ব্যবহৃত হয় বলে এ ভাষাটিকে লেখো ভাষাও বলা হয়। 

সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য

সাধু ভাষার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো :-

১. সাধু ভাষারীতি হল  প্রাচীন। 

২. সাধু ভাষারীতি গুরু গম্বীর এবং তৎসম শব্দ বহুল। 

৩. সাধু ভাষার ক্ষেত্রে অব্যয়ের তৎসম রূপ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন :- তথাপ,  অদ্য ইত্যাদি। 

৪. সাধু ভাষা সমূহ ব্যাকরণের যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়মসমূহ  সু-নির্ধারিতভাবে মেনে চলে।

৫. সাধু ভাষার ক্ষেত্রে পদবিন্যাসসমূহ সুনিদৃষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। 

সাধু ভাষার উদাহরণ

সাধু ভাষারীত এর উদাহরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো :-

উদাহরণ ১ :- আপনি কাহাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে,  সে যদি আপনার প্রশ্নের হাঁ না যাহাই হোক একটা জবাব না দিয়া একবার হইতে ভ্যা ভ্যা কি চ্যাঁ চ্যাঁ করিয়া চেচাইতে শুরু করে, ভাবিয়া দেখুন, তখন অবস্থাটা কি হইবে? 

উদাহরণ ২ :- কয়েকদিন পরে রান্না ঘরের পার্শ্ব দিয়া যাইবার সময় তুলসী গাছটি মোদাব্বেরের  দৃষ্টিতে পরে। সে কিঞ্চিত বিস্মিত না হইয়া পারে না। 

সাধু ভাষা কাকে বলে
সাধু ভাষা কাকে বলে

সাধু ভাষার জনক কে

সাধু ভাষার জনক হলেন → ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এছাড়াও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে সাধু ভাষারীতির এবং বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়ে থাকে। 

সাধু ভাষায় কোন শব্দের প্রাধান্য বেশি

সাধু ভাষারীতিতে সাধারণত সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন হওয়ার জন্য সাধু ভাষারীতি হিসেবে সংস্কৃত ভাষাকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে।

এছাড়াও বাজারে দিতে যখন সাধু ভাষা প্রয়োগ করা হয় তখন সে ক্ষেত্রে তৎসম ভাষা সমূহ বা সংস্কৃত ভাষা সমূহ বেশি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এজন্য সাধু ভাষা দিতে সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের প্রাধান্য সবচেয়ে বেশি থাকে।

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সাধু ভাষা রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য ও প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি। 

আশা করি,, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সাধু ভাষা সম্পর্কিত যে সকল তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *