ভাষা কাকে বলে? ভাষা কত প্রকার ও কি কি? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ
আসসালামু আলাইকুম-সুপ্রিয় পাঠবৃন্দ আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষা রিলেটেড ভাষা ভিত্তিক উক্ত পোস্টে আপনাদের সকল কে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে ভাষা কাকে বলে,, ভাষার প্রকারভেদ ও প্রকারভেদ সমূহ কি কি এবং ভাষার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাষায় কথা বলে অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এজন্য নিজস্ব ভাষা সম্পর্কে জানার জন্য অথবা বাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে ভাষার প্রকারভেদ,,
ভাষা কাকে বলে এবং ভাষার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হবে। ভাষা সম্পর্কে বিবিধে বিভিন্ন তথ্য জানার মাধ্যমে বাংলা ভাষা বা নিজেদের ভাষাকে সম্মানিত করার পাশাপাশি ভাষা সম্পর্কে উপলব্ধি করা যায়।
ভাষা কাকে বলে
মানুষ নিজেদের মনের ভাষা প্রকাশ করার জন্য যে সকল অর্থবোধক ধনী সমূহ উচ্চারণ করে থাকে তাকে ভাষা বলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাষাবিদ এবং ভাষা পন্ডিতগণ ভাষা সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত প্রকাশ করেছেন। তারা তাদের নিজেদের গবেষণা কিংবা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানার মাধ্যমে বিভিন্ন সংজ্ঞা তুলে ধরেছেন।
প্রমাণ প্রমাণ হলো :- মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে অপরের বোধগম্য যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি উচ্চারণ করে থাকে, সেই ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে ভাষা বলে।’ – ড. মুহম্মদ এনামুল হক।
ভাষা কত প্রকার ও কি কি
ভাষা হচ্ছে মানুষের ভাব প্রকাশের শ্রেষ্ঠ বাহন। অস্থায়িত্ব আর স্থায়িত্বের দিক থেকে ভাষাকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন :-
ক) মৌখিক ভাষা ও
খ) লিখিত ভাষা ।
ক) মৌখিক ভাষা:-
লিপি আবিষ্কারের আগে ভাষাকে স্থায়ীভাবে লিখে রাখার সুযোগ ছিল না। তখন মানুষ মুখে মুখে কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করত। মানুষের এই মুখের ভাষাই মৌখিক ভাষা হিসেবে পরিচিত।
যেসব জাতিগোষ্ঠীর ভাষার লিখনব্যবস্থা তৈরি হয়নি, সেগুলোকে মৌখিক ভাষা বলে। মৌখিক ভাষা এক একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে, তাই একে আঞ্চলিক ভাষাও বলে। আঞ্চলিক ভাষাকে উপভাষাও বলা হয় ।
খ) লিখিত ভাষা:- মুখের ভাষা কানে শোনা যায়, চোখে দেখা যায় না। শোনার পর তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। ফলে কেউ যখন কোনো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা প্রয়োজনের কথা বলে,
তার কোনো স্থায়িত্ব থাকে না এবং ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে সাথে তা প্রমাণহীন হয়ে পড়ে। তাই কথাকে ধরে রাখার জন্য মানুষ নানাভাবে চিন্তা শুরু করে।
তারপর একসময় লিপি আবিষ্কারের মাধ্যমে লিখনব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটে। সাধারণত বর্ণমালার মাধ্যমে যে ভাষায় মানুষের মনোভাব লিখে প্রকাশ করা যায়, তা-ই হচ্ছে লিখিত ভাষা।
অন্য পোষ্ট: সাধু ভাষা কাকে বলে? সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য, উদাহরণ, জনক কে
ভাষার বৈশিষ্ট্য
গিয়ে বিভিন্ন দেশের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে কথা বলে। এভাবে ভাষা আলাদা হয়ে পড়ে। ফলে ভাষার ভাষার সংজ্ঞার মধ্যেই মিশে আছে ভাষার বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীর সব মানুষই ভাব প্রকাশ করে। একই ভাব প্রকাশ করতে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নিচে ভাষার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো :-
- ভাষা হলো ভাবের বাহন।
- অর্থবোধক ধ্বনিই ভাষা। যেসব ধ্বনির অর্থ থাকে না, তা ভাষা নয়। যেমন : পশুপাখির ডাক বা ধ্বনি ভাষা নয়।
- ভাষা কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক ভাষাগত পরিচয়ের প্রতীক ।
- ভাষা পরিবর্তনশীল। কোনো ভাষাই চিরকাল একরকম থাকে না। ভাষার এ পরিবর্তনশীলতা যুগে যুগে নতুন ভাষার জন্ম দিয়েছে।
- ভাষা বহমান নদীর মতো গতিশীল।
- কোনো বাধাই তার চলার গতিকে থামাতে পারে না।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ভাষা কাকে বলে ভাষার প্রকারভেদ এবং বাসার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি,, আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনারা ভাষা সম্পর্কিত যে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন।