তানবীন কাকে বলে – কত প্রকার
তানবীন কাকে বলে : পবিত্র কুরআন সহ ইসলামিক বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পড়ার ক্ষেত্রে আরবি ভাষা উচ্চারণের ক্ষেত্রে তানবীন সম্পর্কে জানতে হয়। এজন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে তানবীন সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন।
তবে প্রথমে তানবীন কাকে বলে এবং তানবীন কত প্রকার এ সম্পর্কে তথ্য জানা প্রয়োজন। এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তানবীন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন তেমন দিন কাকে বলে তানবীন কত প্রকার ইত্যাদি তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
তানবীন হল এমন একটি বিষয় যা জানার মাধ্যমে সহিহ এবং শুদ্ধভাবে পবিত্র কোরআনসহ অন্যান্য ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ পড়ার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে কার্যকর। এজন্য তানবীন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে।
তানবীন কিভাবে ব্যবহার করা হয়? এবং আরবি হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে অথবা আরবি বাক্য পড়ার ক্ষেত্রে কিভাবে তানবীন কে ব্যবহার করার মাধ্যমে যথাযথভাবে পবিত্র কোরআন সহ অন্যান গ্রন্থ তেলাওয়াত করা যায় তা যারা জরুরী।
তাই জানতে হবে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন হরফগুলোর মধ্যে কখন কিভাবে তানবীন ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেগুলো কিভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি তানবীন কাকে বলে এবং কত প্রকার ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জরুরী।
তানবীন অর্থ কি
আরবি ভাষার ক্ষেত্রে, পবিত্র কুরআন মজিদ তেলাওয়াত বা উচ্চারণের ক্ষেত্রে প্রতিটি হরফের উপর নুকতা এবং পাশাপাশি যজম ব্যবহার করা হয়।
এক্ষেত্রে যে সকল জজম অর্থাৎ জের জবর পেশ, এগুলোকে যদি ক্রমান্বয়ে দুইবার করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে তাকে বিন বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ তানবীন শব্দের অর্থ হলো যে জবর এবং পেশ কে বেগুন আকারে ব্যবহার করা হরকত সমূহে।
তানবীন কি
তানবীন হল দুই জবর, দুই যের এবং দুই পেশ, আরবি বাসায় আরবি লিখার ক্ষেত্রে, আরবি হরফ গুলোর উপরে এবং নিচে যেগুলো ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ যে যোজন গুলো ব্যবহার করা হয় যেমন যের, যবর এবং পেশ।
যের, যবর এবং দেশকে দুই বার করে ব্যবহার করা হলে তাকে তানভীন বলা হয়। অর্থাৎ দুই যবর, দুই যের এবং দুই পেশ কে বলে- তানবীন।
তানবীন কাকে বলে
√দুই যাবার দুই পেশ ও দুই যের’কে তানবীন বলে।
নুন সাকিন,,তানবীনের ভিতরে লুকায়িত থাকে।
অর্থাৎ দুই যাবার, দুই যের ও দুই পেশের মধ্যে,
প্রথমটি অর্থাৎ, (যাবার, যের, পেশ) কে হারকাত,,
আর দ্বিতীয়টি নুন সাকিন বলা হয়।
উদাহরণ স্বরুপ ‘মান্’ কথাটি মিমে’র বাম পাশে নুন সাকিন দিয়েও লিখা যেতে পারে আবার মিমে’র উপর দুই যাবার দিয়েও লিখা যেতে পারে। ।Jun 15, 2020
তানবীন কত প্রকার
তানবীন সাধারনত,৫ প্রকার।
যথা:-
১.তামাক্কুন,,,,
২.তানকির,,,
৩.ইয়ায,,,
৪.মুক্বাবিলা,,,
৫. তারান্নুম।
তানবীন কাকে বলে উদাহরণ
- ★দুই যাবার দুই পেশ ও দুই যের’কে তানবীন বলে।
- নুন সাকিন,,তানবীনের ভিতরে লুকায়িত থাকে।
- অর্থাৎ দুই যাবার, দুই যের ও দুই পেশের মধ্যে,
- প্রথমটি অর্থাৎ, (যাবার, যের, পেশ) কে হারকাত,,
- আর দ্বিতীয়টি নুন সাকিন বলা হয়।
উদাহরণ :-
‘মান্’ এই কথাটির ক্ষেত্রে, যদি মিমে’র বাম পাশে নুন সাকিন দিয়েও লিখা যেতে পারে, তাছাড়া, আবার মিমে’র উপর দুই যাবার দিয়েও লিখা যায়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে তানবীন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন তানবীন কাকে বলে, তানবীন কত প্রকার ইত্যাদি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আপনারা থাকবেন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন তানবীন কাকে বলে এবং কত প্রকার ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আশাকরি তানবীন সম্পর্কে আপনাদের যে সকল তথ্য জানা ছিল তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যথার্থ ভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।