প্রযুক্তি কি? প্রযুক্তি কাকে বলে – এর প্রকারভেদ ও উপাদানসমূহ
প্রযুক্তি কাকে বল: বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারকে মানুষ যা তাদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে,,, তাকে প্রযুক্তি বলে।বিভিন্ন সময় বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজনকে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেছেন।
বিজ্ঞানের বিভিন্ন কাজে তৈরিকৃত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপাদানের জ্ঞান সমূহ কে প্রযুক্তি বলা হয়।নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন মানুষের জীবনকে সহজতর করে তুলেছে।
বিভিন্ন প্রায়য়গির কৌশলে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রায়োগী কৌশল উন্নতি জীবনের প্রসার হিসেবে উল্লেখযোগ্য।বিজ্ঞানের এক অফুরন্ত সুন্দর ও অন্যতম প্রযুক্তি
প্রযুক্তির প্রকারভেদ
প্রযুক্তির প্রকার ভেদ। যথা :
- তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি,,,,
- জৈবপ্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি,,,,,
- পারমাণবিক প্রযুক্তি বা নিউক্লিয়ার টেকনোলজি,,,,
- যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কম্যুনিকেশন টেকনোলজি,,,,,
- ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি,,,,,
- চিকিৎসা প্রযুক্তি বা মেডিক্যাল টেকনোলজি।
১. তথ্যপ্রযুক্তি : বর্তমান সময়ে হার্ডওয়ার সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। তো প্রযুক্তির বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার জাতীয় সম্পাদন করা হয়। কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা তথ্য আদান-প্রদানের এবং তথ্য সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
২. চিকিৎসা প্রযুক্তি : ক্রমান্বয়ে চিকিৎসার মান উন্নয়নের ফলে ডাক্তারগণ বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে ও প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে গর্ভবতী থেকে শুরু করে আল্টানোগ্রাফি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়ন সাধিত করেছে।
৩. কৃষি প্রযুক্তি : কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তির অববাহিকায় উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব। সেন্সর এর মাধ্যমে তাপমাত্রা ও আদ্রতা ভিত্তিক সময়োপযোগী ফসল ও বীজ সার ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। আধুনিক মেশিন তৈরিতে ধান মারাই ও কাচাই করার যন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার ফলে,,অল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
৪. নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি : প্রযুক্তির নতুন বিকাশের ফলে বর্তমান সময়ে দেয়াটা আদান-প্রদান নতুন তথ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ পাশাপাশি নতুন কাজের সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনীয় ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
৫. নির্মাণ প্রযুক্তি: বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিল্প প্রতিষ্ঠান নতুন নতুন উদ্ভাবনী সরঞ্জাম ও তত্ত্বের মাধ্যমে আবিষ্কার করা হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সমূহ।
৬. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট : এ ব্যবস্থা কে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানের সব শেষ উচ্চতর দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে রোবটের মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল ও কঠিন কাজকর্ম করানো যায় যেগুলো মানুষ দ্বারা কড়ানো সম্ভব নয়।
৭. পরিবহন প্রযুক্তি : পরিবহন প্রযুক্তি দিয়ে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ে একখান থেকে অনুসারে যাতায়াতে বিভিন্ন কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার সময় লাঘব করেছে।
প্রযুক্তির উপাদান সমূহঃ
কম্পিউটার ও আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি,,,
- কম্পিউটিং,,,,
- রেডিও, টেলিভিশন,,,,
- ফ্যাক্স,,,
- অডিও ভিডিও,,,
- স্যাটেলাইট,,,
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক,,,
- ইন্টারনেট,,,
- আধুনিক টেলিযোগাযোগ,,,
- মডেম,,, ইত্যাদি।