ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে?
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে?
ডেঙ্গু জ্বরের ধরনের উপর ভিত্তি করে ডেঙ্গু দীর্ঘ স্থায়ীত্ব লাভ করে। হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর এবং ক্লাসিকাল ডেঙ্গু জ্বর। এ দুই ধরনের জ্বর হয়ে থাকে।
হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সাধারণত হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরসমূহ দশদিনের বেশি বা অধিক সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ হতে ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লাগে।
তবে ক্লাসিকাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
আশিকাল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হতে একেবারে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হতে ৫ থেকে ৭ দিনের মত সময় লাগে।
ডেঙ্গু মশা কিভাবে ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস বহন করে?
ডেঙ্গু জ্বর একটি গ্রীষ্মকালীয় রোগ। এর উক্তি স্ত্রী এডিস মশার কামড়ের ফলে হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু বহনকারী স্ত্রী এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে এবং তার তিন থেকে 15 দিনের মধ্যে প্রকাশ পায়।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির গায়ে কামড় দেয়ার ফলে ক্রোমের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় একটি এডিস মশকী। পরবর্তীতে ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে থাকে একজন মশকী।
মশার বিভিন্ন কোষে এগুলো ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস সমূহ এবং আক্রান্ত মশা যদি কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দেয় তাহলে ইহার মাধ্যমে দেমু তোরে আক্রান্ত হন একজন ব্যক্তি।
আরো পড়ুন: টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে
জীবনের ক্ষেত্রে আক্রান্ত মশকের গায়ে ডেঙ্গু জড়িয়ে কোন প্রতিক্রিয়া হয় না তবে তা মানুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ডক্টর আখতারুজ্জামান জানান যে এডিস পোশাক কামড়ালেই সব সময় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় না।
পরিবেশের খারাপ বা অপরিষ্কার পরিস্থিতিতে মশকি যদি আক্রান্ত হয় তবে উক্ত মশকির কামড়ের ফলে একজন ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে।
আবার অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে,, অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ মশা একটি অসুস্থ অথবা ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দিলে তা থেকে ডেঙ্গু সংক্রমিত হয়ে পরবর্তীতে সুস্থ মানুষের দেহে কামড় দিয়ে সেই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দিতে পারে। আর বর্ষাকালে অথবা গ্রীষ্মকালে ভাইরাস থেকে সচেতন থাকা উচিত।