কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় | প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়: মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক না হলেই প্রেগনেট নয়। কারণ শারীরিক বিভিন্ন কারণে মাসিক দেরিতে হতে পারে বা মিস হয়ে যেতে পারে।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সাধারনত কত দিন পর বুঝতে পারা যায়
১. গর্ভবতী হওয়ার সাধারণত ২১ দিনের মাধ্যমে লক্ষণ প্রকাশ পায়।
২. গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত তাদের মাসিক মিস হয়ে যায়। যা গর্ভবতীর একটি অন্যতম লক্ষণ।
৩.প্রেগনেন্সি টেস্ট এর মাধ্যমে এ ব্যাপারে শিওর হওয়া জরুরী।
৪. তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরকম হয় যে এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরে গর্ভবতী হয়েছে কিনা এরকম কোন লক্ষণ সম্পর্কে জানা যায়।
৫. এক মাসের অধিক সময় অতিক্রম হওয়ার পরও যদি কোন মহিলার এরকম হয় যে মাসিক হয়নি তাহলে বুঝে নিতে হবে গর্ভাবস্থায় এরকম পরিস্থিতি হয়তো সম্ভাবনা হয়েছে।
এ পরিস্থিতি অথবা সম্ভাবনা সত্য কিনা তা যাচাইয়ের জন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট করা জরুরী।
মাসিক না হলে ঔষধ
মাসিক না হলে ডাক্তার বন বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ফোন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এরকম কিছু ঔষধ হলো :
- Normens,,,
- Ethinor ,,,,
- Feminor ,,,
- Menoral ,,,,
- Mensil N,,,,
- Remens ,,,
- Menogia ,,,,
- Norcolut ,,,
- Norestin,,,,
- Noteron ,,,,
মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট
অনেকে খেতে শরীরের পুষ্টির অভাব থাকলে অথবা রক্তশূন্যতা জাতীয় কোন সমস্যা দেখা দিলে সময়মতো মাসিক হয় না কখনো কখনো দুই তিন মাসের বেশি সময় চলে যায়।
তবে এ সমস্যা সমাধানে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কিন্তু এরকম নয় যে মাসিক হয়নি তার মানে প্রেগন্যান্ট। তবে যৌন জননের বিভিন্ন ধাপ অনুযায়ী এরকম ধারণা করা যেতে পারে।
তবে এ সমস্যার সমাধানে অথবা শিওর হওয়ার ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট কিনা সেটা টেস্ট করা জরুরী। তবে সব ক্ষেত্রে বা সব সময় এমন নয় যে মাসিক না হলে প্রেগন্যান্ট।
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
সাধারণভাবে যৌন মিলনের ক্ষেত্রে মাসিক না হলে অথবা মাসিক মিস হওয়ার এক মাসের বেশি সময় অতিক্রম হলে বিভিন্ন ধরনের প্রেগন্যান্ট এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট কিনা তা টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই এটি এক মাসের বেশি সময় অতিক্রম হওয়ার পরেও মাসিক না হলে প্রেগন্যান্ট এরকম ধারণা করা হয়।
তবে অস্বাভাবিক মিলনের ক্ষেত্রে সাধারণত ২১ দিনের মধ্যেই এ লক্ষণ বোঝা যায়। এক্ষেত্রে ২১ দিনের মধ্যেই প্রেগন্যান্ট কিনা তা সম্পর্কে জানা যায় অথবা বোঝা যায়।
মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না
সাধারণত মাসিক হওয়ার ক্ষেত্রে ১৪ তম দিন পরযেকোনো দিনে সহবাস পড়লে গর্ভবতী হতে পারে তবে দশম দিনে না করাই উত্তম।
এক্ষেত্রে দুইবার মাসিক হওয়ার পর মধ্যবর্তী কোন একটি সময়ে ডিম্বানু সে তো অবস্থায় থাকতে পারে। মানুষ সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নিষিদ্ধ অবস্থায় থাকতে পারে।
সেদিক বিবেচনায় অথবা সে ক্ষেত্রে সাধারণত মাসিক হওয়ার ১৯ দিন পর অথবা 10 থেকে 12 দিন পর এভাবে বলতে গেলে সবচেয়ে কম পরিমাণ হলেও 14 দিনের পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয়। তবে মাসিক চলাকালীন সময়ে সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না। অথবা গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম পরিমাণে থাকে।
মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা জরুরি
যৌন মিলনের পর প্রেগন্যান্ট কিনা সেটা সাধারণত পরবর্তী মাসিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। যদি পরবর্তী মাসে যথাসময়ে না হয় তাহলে প্রেগন্যান্ট বলে ধরে নিতে হয়।
তবে সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে অথবা একদিন কিনা সেটা টেস্ট করার ক্ষেত্রে কম হলেও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর টেস্টের মাধ্যমে প্রেগন্যান্ট কিনা সেই সম্পর্কে জানা যাবে।
সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়
সহবাসের ফলে যে গর্ভবতী হয় এমন নয় অনেক ক্ষেত্রে সহবাসের ফলেও গর্ভবতী হয় না এরকম অবস্থা পরিলক্ষিত।
- তবে সহবাসের পর অর্থাৎ ২১ দিন পর অথবা ৩০ দিন পর এ সম্পর্কে জানা যায়।
- সাধারণত এক মাস অথবা ২১ দিন পর পর মাসিক হয়ে থাকে এক্ষেত্রে মাসিক না হলে গর্ভবতী এরকম মনে করা হয়।
- কম হলেও ২১ থেকে ৩০ দিন পর গর্ভবতী কিনা তা জানা যায়।
আরো পড়ুন: নোরিক্স ১ খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
যৌন জননের ফলে অথবা সহবাসের পর যদি মাসিক না হয় তাহলে,, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মনে করা হয় যে গর্ভবতী।
তবে সহবাসের পর মাসিক না হলে অথবা মাসিক মিস হলে গর্ভবতী কি না তা যাচাই করার জন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট করা প্রয়োজন।
আবার অনেকে পিল গ্রহন করার ফলে গর্ভবতী হয় না আবার পাশাপাশি মাসিক হয় না অথবা সময় সাপেক্ষ নিয়ে তারপর হয়। তাই এ ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পন্থা হলো প্রেগনেন্সি টেস্ট এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া।
যদি ব্যক্তি গর্ভবতী না হয় তাহলে এক্ষেত্রে অধিক সময় অতিক্রম করার পরেও যদি মাসিক না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।