পদার্থ কি? পদার্থ কাকে বলে

পদার্থ কি: উদাহরণস্বরূপ, একটি ইস্পাত পাত ধাতু থেকে গঠিত হয় যা পদার্থের একটি উদাহরণ। ইস্পাত পাত সাধারণত পুরোপুরি ইস্পাত ধাতু থেকে গঠিত হয় এবং পদার্থের বিভিন্ন গুণাবলী যেমন গঠনশীলতা, গুরুত্ব, দ্রবণত্ব ইত্যাদি ইস্পাত পাতে প্রদর্শিত হয়।

পদার্থ কাকে বলে 

পদার্থ হলো সমস্ত বস্তুগুলোর অস্তিত্বের মৌলিক অংশ বা তত্ত্ব। এটি বাস্তব বিশ্বের বিষয়বস্তুর বর্ণনা দেয়। পদার্থ সাধারণত বস্তুদের মানসিক কার্যক্ষমতা, গঠন, গতিবিধিগুলির জন্য ক্ষমতা, রং, মঞ্চন, গুরুত্ব, ঘনমাত্রা ইত্যাদি বিশেষত্ব দেয়।

পদার্থ উদাহরণ দিতে গেলে কাউকে ধাতু বা মূল ঘটক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ধাতুগুলি পদার্থের মৌলিক অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। 

অন্যান্য পদার্থের উদাহরণ হতে পারে পানি, কাঠ, পাথর, পাগলা, স্বর্ণ, সোয়ার, সিলিকন ইত্যাদি। এই উদাহরণগুলি পদার্থের বিভিন্ন রূপান্তর প্রক্রিয়ার ফলে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পদার্থের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী প্রদর্শিত করে।

পদার্থের বৈশিষ্ট্য

পদার্থের বৈশিষ্ট্য হলো তার বৈচিত্র্য, যা তাকে অন্য বস্তুগুলি থেকে পৃথক করে। পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ হতে পারে:

১.গঠনশীলতা: পদার্থ একটি নির্দিষ্ট গঠন ও আকার ধারণ করে। এটি পদার্থের কণাগুলির সাজানো নিয়মাবলীকে বোঝায় এবং পদার্থটির প্রকৃতি নির্ধারণ করে। 

২.গুরুত্ব: পদার্থের গুরুত্ব হলো এর মাত্রার বিশেষ ধারণা যা আপনায় বস্তুর উপর প্রয়োগ করা হয়। গুরুত্ব পদার্থের উপর পানির জন্য পানিকে ভার দেয় এবং পদার্থটির পদবীকরণ প্রভৃতি নির্দিষ্ট করে।

৩.দ্রবণত্ব: পদার্থ যখন তাপ বা চলাচলের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়, তখন তার দ্রবণত্ব প্রকাশ করে।  উদাহরণস্বরূপ, স্বর্ণ একটি উচ্চ দ্রবণত্ব ধারণ করে যা এর গলানো সুবিধা বাধ্য করে।

৪.বাণিজ্যিকতা: পদার্থের বাণিজ্যিকতা হলো তার যৌথ বা স্থানান্তর করার সুবিধা। এটি পদার্থের পদার্থিতা বা দ্রবণ অবস্থার উপর ভিত্তি করে কাজ করে। 

৫.রং: পদার্থের রঙ তার বৈশিষ্ট্যের একটি উপাদান যা এর উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকাশ করে।  উদাহরণস্বরূপ, সোয়ার সুন্দর হলো তার বাণিজ্যিক রঙের জন্য যা তার গ্রাহকদের আকর্ষণ করে।

৬.পরিমাণ: পদার্থের পরিমাণ হলো এর পর্যাপ্ততা বা পরিমাপযোগ্যতা। এটি পদার্থের মাত্রার পরিবর্তন বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে। 

৭.বিভিন্নতা: পদার্থের বিভিন্নতা হলো তার অন্য পদার্থগুলি থেকে উদ্ভিন্নতা বা বিশেষ স্বভাব। এটি পদার্থের চারিপাশের পরিবেশের প্রভাবে প্রতিফলিত হয়। 

৮.পদার্থিক পরিবর্তন: পদার্থের পরিবর্তিত অবস্থা বা পরিমাপযোগ্য গুণাবলী যা তার পরিবর্তিত প্রকৃতিতে প্রদর্শিত হয়।

৯.তাপমাত্রা: পদার্থের তাপমাত্রা হলো তার সাধারণ তাপমাত্রা বা তাপ সঞ্চালনের ধারণা। উদাহরণস্বরূপ, তাপ চলাচলের উপর প্রভাবিত হয়ে পানিতে সঞ্চালিত হয়।

১০.অবস্থান: পদার্থ অবস্থান বা স্থানান্তরের সুবিধা প্রদর্শন করে। উদাহরণস্বরূপ, তারের চুম্বকীয় বৈশিষ্ট্য তার কোনও অবস্থানে প্রকাশিত হয়।

১১.অবস্থা: পদার্থ বিভিন্ন অবস্থা ধারণ করতে পারে, যেমন গ্যাস, তরল, ঠণ্ডা, গঠিত ইত্যাদি। পদার্থের বিভিন্ন অবস্থার জন্য পরিবর্তনশীলতা বা বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

১২.পারমাণবিক গঠন: পদার্থের গঠন পারমাণবিক নিয়ম অনুযায়ী বিবেচিত হতে পারে, যেমন ইলেক্ট্রনের আববৃত্তি বা পর্যাপ্ত নিউক্লিয়াস।

১৩.প্রতিদ্বন্দ্বিতা: পদার্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রদর্শন করতে পারে, যেমন ইলেকট্রিক চার্জ এবং পদার্থের প্রতিপাদনকারী বৈদ্যুতিন বিভব।

১৪.অপরিবর্তনশীলতা: পদার্থ অপরিবর্তনশীল হতে পারে এবং বিভিন্ন পরিবর্তনের পরেও তার মূল্যায়ন পরিবর্তিত হয় না, যেমন অভিকর্ষশীলতা।

পদার্থ কি পদার্থ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি উদাহরণ দাও

পদার্থের প্রকারভেদ | পদার্থ কত প্রকার ও কি কি

পদার্থ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যা তাদের বিভিন্ন গুণাবলী, বিন্যাস, বস্তুগত সংজ্ঞা ইত্যাদি ভিন্ন করে। পদার্থের প্রধান প্রকারগুলি নিম্নলিখিত:

১.তারকিক পদার্থ: তারকিক পদার্থ হলো ঐক্যবদ্ধ পদার্থ যা পৃথিবীর বাইরে সংক্রান্ত সাধারণ বস্তুগুলিকে সংগঠিত করে। উদাহরণস্বরূপ, পাথর, মাটি, লোহা, স্বর্ণ, পৃথিবী ইত্যাদি।

২.তরল পদার্থ: তরল পদার্থ হলো অভিকর্ষশীল পদার্থ যা প্রায় নির্দিষ্ট আকার এবং বিন্দুগামী হয়। উদাহরণস্বরূপ, পানি, তেল, মদ, আমিষ, গ্যাস ইত্যাদি।

৩.গ্যাস: গ্যাস হলো সরবরাহযোগ্য পদার্থ যা নির্দিষ্ট আকার বা ঠিকানায় সীমাবদ্ধ হয় না। উদাহরণস্বরূপ, বায়ু, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি।

৪.রাধার পদার্থ: রাধার পদার্থ হলো অপরিবর্তনশীল অবস্থায় থাকা পদার্থ যা নির্দিষ্ট আকার ও ঠিকানায় সীমাবদ্ধ হয়। উদাহরণস্বরূপ, সোলিড ধাতু, বাক্সাইট, ক্রিস্টাল, গ্লাস, পাথরের আকৃতি ইত্যাদি।

৫.প্লাস্মা: প্লাস্মা হলো আগ্নেয়গমী অবস্থায় থাকা অবস্থান্তর পদার্থ। প্লাস্মা অসংকীর্ণ ধাতু বা ইলেকট্রনের আববৃত্তির ফলে গঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যরশ্মি, ভয়েসার আগ্নেয় প্লাস্মা, তীব্র লাইটিং ইত্যাদি।

এছাড়াও, পদার্থ অন্যান্য উপাদানগুলির সংযোগ এবং বিভিন্ন গঠনবিশিষ্ট পদার্থগুলির সমন্বয়ে সম্পাদিত হয়ে থাকে সাধারণত, পদার্থ মানের পদার্থ, রাসায়নিক পদার্থ, বায়োলমোল পদার্থ, জৈবিক পদার্থ, সংঘটিত পদার্থ।

পদার্থ কি দিয়ে গঠিত

পদার্থ একটি বিশেষ প্রকার বস্তু যা একাধিক ধাতু এবং উপাদানগুলির সংযোগ থেকে গঠিত হয়। পদার্থ গঠিত হয় যখন একাধিক ধাতু বা উপাদান সংযোগ এবং সমন্বয় একত্রিত হয়ে থাকে এবং নতুন একটি বস্তুর আকার ও গুণাবলী প্রদর্শন করে। 

এই ধাতু বা উপাদানগুলি পদার্থের মূল বিন্যাসের অংশ হিসাবে পরিচিত হয়। পদার্থের গঠন প্রক্রিয়াটি সাধারণত ফিজিক্স ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে যায়। একটি পদার্থ গঠিত হলে পৃথক ধাতু বা উপাদানগুলি তাদের নিজস্ব সাধারণ আববৃত্তির মধ্যে সংযোগ করে এবং তাদের পরমাণুগুলি যৌথ সাজানো হয়।

 এই সাজানো পরমাণুগুলি ধাতুর গঠনে নিয়মিতভাবে সাজানো হয় যাতে সমতল এবং সমানান্তর অনুসরণ করে। এই গঠনশীলতা পদার্থের গুরুত্ব, বল সামগ্রী, ঘনমাত্রা, সঞ্চালনশীলতা ইত্যাদি নির্ধারণ করে।

যেমনঃ একটি ইস্পাত পাত ধাতু থেকে গঠিত হয় যা বিভিন্ন ধাতুর সমন্বয়ে গঠিত হয়। ইস্পাত পাতে ধাতুগুলির গুণাবলী যেমন গঠনশীলতা, গুরুত্ব, ঘনমাত্রা ইত্যাদি প্রকাশ করে।

আরো পড়ুন: পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে

পদার্থের অবস্থা কয়টি

পদার্থ বিভিন্ন অবস্থা ধারণ করতে পারে, যা তার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্যের আধারে বিভক্ত করা যায়।সাধারণত, পদার্থ পাঁচটি প্রধান অবস্থা ধারণ করে এবং তাদের বিভিন্ন সমস্ত বস্তুগত বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদর্শন করে। পদার্থের প্রধান অবস্থাগুলি নিম্নলিখিত:

১.ঠণ্ডা পদার্থ (Solid): ঠণ্ডা পদার্থ হলো একটি অবস্থা যেখানে পদার্থের কণা নিয়মিতভাবে সাজানো এবং সংকীর্ণ আববৃত্তির মধ্যে স্থানান্তর করে না। ঠণ্ডা পদার্থ সহনশীলতা বেশি হয় এবং তার আকার এবং গঠন ধরণের পরিবর্তন নয়। উদাহরণস্বরূপ, লোহা, কাঠ, পাথর ইত্যাদি।

২.তরল পদার্থ (Liquid): তরল পদার্থ হলো অবস্থা যেখানে পদার্থের কণা নিয়মিতভাবে সাজানো এবং পরস্পরের মধ্যে স্থানান্তর করতে পারে। তরল পদার্থ ঠণ্ডা পদার্থের চেয়ে সহনশীলতা বেশি হয়। উদাহরণস্বরূপ, পানি, তেল, রস ইত্যাদি।

৩.গ্যাস (Gas): গ্যাস হলো একটি অবস্থা যেখানে পদার্থের কণা নিয়মিতভাবে সাজানো এবং পরস্পরের মধ্যে স্থানান্তর করতে পারে। গ্যাসের আকার ও আকৃতি বৈশিষ্ট্যগুলি অপরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বায়ু, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি।

৪.প্লাস্মা (Plasma): প্লাস্মা হলো চালক অবস্থা যা অবস্থান্তর পদার্থের পরিবর্তিত অবস্থা। প্লাস্মা পরিমাণুগুলি আববৃত্তির ফলে একটি চালক এবং অপরিবর্তনশীল অবস্থায় থাকে। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যরশ্মি, ভয়েসার আগ্নেয় প্লাস্মা ইত্যাদি।

৫.কন্ডেনসেট (Condensate): কন্ডেনসেট হলো একটি ঠণ্ডা বা তরল পদার্থ যা ঠান্ডা বা তরল পদার্থের অবস্থায় থাকতে পারে না। কন্ডেনসেট পদার্থ অতিরিক্ত পরিমাণুগুলির সংগ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *