হালাল শব্দের অর্থ কি? হালালের সংজ্ঞা ও উদাহরণ
হালাল শব্দের অর্থ কি: একজন খাটি ও প্রকৃত মুসলমান হিসেবে মুসলমানের জানা উচিত এবং প্রয়োজন যে তাদের জীবনে যে কাজগুলো করছে অথবা যে খাবারগুলো খাচ্ছে সেগুলো হালাল ভাবে নাকি হারাম।
তাই প্রকৃত মুসলমানদের হালাল শব্দের অর্থ কি? হালালের সংজ্ঞা ও উদাহরণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে হালাল শব্দের অর্থ কি হালাল এর সংজ্ঞা এবং উদাহরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো।
আলতালা মানুষদেরকে যে সকল কাজগুলো করতেন আদেশ করেছেন অর্থাৎ যে সকল কাজগুলো সৎ আদর্শ নিষ্ঠাবান এবং ইতিবাচক কর্মকান্ড হিসেবে পরিচিত সে সকল কাজগুলোকে হালাল বলা হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কুরআনে এবং বিভিন্ন মুসল্লী বা অর্থাৎ নবীগণের দ্বারা বিভিন্ন সুন্নাহ এর আলোকে মানুষদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছেন হালাল গুলো কি কি। তাই প্রতিটি মুসলমানের উপার্জনের ক্ষেত্রে এবং খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে হালাল খাদ্য গ্রহণ করা ফরজ।
হালাল শব্দের অর্থ কি?
হালাল শব্দের অর্থ হলো সৎ আদর্শ নিষ্ঠাবান ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ড। কুরআনের আলোকে এবং হাদিসের আলোকে মহান আল্লাহ তায়ালা এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদেরকে যে সকল কাজ করার জন্য আদেশ দিয়েছেন সেই সকল কর্মকান্ডকে হালাল বলা হয়।
হালাল শব্দের অর্থ হলো :
- বৈধ,
- উপকারী,
- কল্যাণ,
- ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি।
হালালের সংজ্ঞা ও উদাহরণ
মহান আল্লাহ তায়ালা সমগ্র সৃষ্টি জগতের একমাত্র মালিক এবং অধীন। আখিরাতের ভালোর জন্য বা জান্নাত কামনার জন্য আল্লাহ তাআলা সকলকে সুপথ অনুকরণ করার আগে দিয়েছেন।
আল্লাহতালা যে সকল কাজ করার জন্য আদেশ করেছেন এবং যে সকল কাজকে বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নবীগণের মাধ্যমে সাধারণ মুসলমানের কাছে এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে পৌঁছে দিয়েছেন এই সকল আদেশ বা বৈধ কাজগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা অনুকরণ করা এবং মেনে নেয়া এবং পালন করাকে হালাল বলা হয়।
উদাহরণ : কোন ব্যক্তি যদি কাউকে না ঠকিয়ে নিজে পরিশ্রম করে কোন কিছু উপার্জন করেন তাহলে সেটা হালাল।
উদাহরণ : অন্যের ক্ষতি না করে যে সকল কাজ করা যায় বা ইতিবাচক চিন্তা করা যায় সেই সকলগুলো হচ্ছে হালাল কাজ।
উদাহরণ : শুকর সহ আরো এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যেগুলোকে খাওয়া আলাদা নিষিদ্ধ করেছেন অর্থাৎ ওই সকল কিছু যদি না খাওয়া হয় তাহলে সেটি হালাল এর সংজ্ঞায় অব্যাহত।
উদাহরণ : এছাড়াও অ্যালকোহল বা মদ গ্রহণ করা কি আল্লাহতালা হারাম বলে ঘোষণা করেছেন যদি কেউ এটা মেনে নেয় এবং পালন করে বা সে আবার না করে যে সকল খাবার হালাল বলে ঘোষণা করেছে সেই সকল খাবার খায় তাহলে তা হালাল কাজের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ তাআলা এবং নবীগণের মাধ্যমে যে সকল বালকাজ বা ইতিবাচক কাজগুলো করার জন্য বিধি নিষেধ দিয়েছেন বা আদেশ দিয়েছেন ওই সকল কাজগুলো হালাল বলা হয়ে থাকে।
কাউকে না ঠকিয়ে কোনভাবে চুরি না করে নিজে উপার্জনে বা নিজের কষ্টে পরিশ্রমে যা উপার্জন করা হয় তাকে হালাল এর অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়।
হালাল পথে চলার সুফল
হালাল পথে চলার সুফল এবং কর্মকাণ্ডের পরিচিতি ব্যাপক। হালালভাবে বাহাল প্রতি চলার ফলে যা অর্জন করা হয় তা মূল্যহীন নয় বরং তা অমূল্য। আল্লাহতালা তার ঐ সকল বান্দাকে পছন্দ করে যে সকল বান্দা সৎ পথে চলে উপার্জন করে এবং আল্লাহতালার সকল বিধি নিষেধ মেনে চলেন।
দুনিয়াতে যে সকল মানুষগণ হালালভাবে সফলতা অর্জন করেছে দুনিয়াতে এবং আখেরাতে তারা অনেক সম্মান পাবে।আখিরাতে জান্নাত লাভের জন্য জান্নাত লাভের আশায় বা ভালো থাকার জন্য তথা জান্নাত পাওয়ার জন্য আল্লাহতালার আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে এবং সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আলোর পথ অর্জন করতে হবে।
হালাল ভাবে উপার্জন করা একটি অন্যতম ফরজ ইবাদত। যে সকল নির্ধারিত ফরজ রয়েছে সেই সকল ফরজ সময়ের পরের একটি বিশেষ ফরজ হলো হারাম ভাবে জীবিকার সন্ধান নির্ধারিত করা।
আল্লাহতালা সকল মুসলিম নারী এবং পুরুষের উপর হালাল ভাবে উপার্জন করাকে ফরজ হিসেবে তো ঘোষণা করেছেন।তাছাড়া অন্যভাবে বলা হয়, হালালভাবে উপার্জন করা একটি জিহাদের অন্তর্ভুক্ত।
যে ব্যক্তি নিজের হাতে উপার্জিত হালাল রিযিক আহার করে এসে বিদ্যুতের গতিতে পরকালে পুলসিরাত পার হয়ে যেতে পারবে।
আল্লাহতালা ওই সকল ব্যক্তিদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান এবং তা কখনো শাস্তি দেন না যারা নিজেদের হাতে পরিশ্রম করে জীবিকা উপার্জন করে জীবন ধারণ করে থাকেন।
হালাল ভাবে জীবন যাপন করার একটি অন্যতম উপাদান হলো বা নিয়ম হলো আল্লাহতালা যে সকল আদেশ-নিষদ দিয়েছেন তা মেনে চলা।
দুনিয়ার জীবনের সুখ এবং আখেরাতের জীবনের কথা উভয়ের কথা চিন্তা করে মানুষের জীবন ধারণ করা হয়। তবে প্রতিটি মুসলমান এ সম্পর্কে অবগত হয়েছে যে আখেরাত হল আসল ঠিকানা বা জায়গা।
আরো পড়ুন: ইবাদত কাকে বলে
তাই আখেরাতের কথা চিন্তা করে সকলকে নিয়েই নীতিবান ও আদর্শ ও ইতিবাচক ও সঠিক নিয়মে জীবন যাপন করতে হবে।
দুনিয়ার কথা চিন্তা করে নয় বরং আখেরাতের কথা চিন্তা করি ইতিবাচক আদর্শ নিয়ম অনুযায়ী জীবন যাপন করা প্রয়োজন।প্রত্যেক মুসলমান যদি জান্নাত বাসী হতে চায় তাহলে তাকে আল্লাহতালা এবং নবী রাসুলের দেয়া আদেশ-নিষেধ গুলো মেনে চলতে হবে।
ওই সকল আদেশ নিষেধের মধ্যে একটি অন্যতম আদেশ হচ্ছে হালাল। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে হালাল কাজকর্ম অথবা হালাল খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো।
হালাল শব্দের অর্থ কাজকর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানা ছিল তা যদি আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যে জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।