সাওম কাকে বলে? সাওম কত প্রকার ও কি কি

সাওম কাকে বলে: ইসলামের পাঁচটি স্তম্বের মধ্যে একটি অন্যতম স্তম্ভ হল সাওম।  আরবি মাস অর্থাৎ রমজান মাস প্রতিবছর একবার আসে

এবং এই মাসে এক মাস ব্যাপী আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের পর্যায় কেউ সাওম বলা হয়ে থাকে। 

তাই প্রতিটি মুসলমানকে সাউন্ড কাকে বলে সাওমের পরিচয় আম কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে হবে এবং সুনির্দিষ্টভাবে নিয়ম কানুন মেনে সাওম পালন করতে হবে। 

ধর্মীয় দিক বিবেচনা সাওমের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সকল সৎ কাজের প্রতিদান আল্লাহতালা দশগুণ থেকে 70 গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন এই রমজান মাস উপলক্ষে সাউন্ড উপলক্ষে। 

তার প্রতিটি মুসলমানকে এই রমজান মাসে চাউন পালন করতে হবে তাই তাদেরকে সাউন্ড কাকে বলে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে জেনে তা পালন করতে হবে। 

সাওম কাকে বলে?

আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রমজান মাসে অর্থাৎ আরবি বছরের শ্রেষ্ঠ একটি মাস রমজান মাসে এক মাস ব্যাপী সাউন্ড পালন করা হয়। 

অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সকল খাবার  পানহার থেকে বিরত থেকে সুবিধা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে আল্লাহতালা যে সন্তুষ্টি লাভ অর্জন করা হয় তাকে সাউন্ড বলা হয়। 

আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক নরনারী অর্থাৎ প্রতিটি মুসলমানের উপর যে সকল স্তম্ভ ফরজ করেছে তার পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে সাওম।

ফলে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ইন্দ্রিয় থেকে বিরত থাকা কে সাওম বলা হয়।

সাওমের পরিচয়

সাউন্ড আরবি শব্দ। এর ফারসি প্রতিশব্দ হলো রোজা। এর আভিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় সাম হল সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আলো সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তির সাথে পানহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা। 

  • প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নারী ও পুরুষের উপর রমজান মাসের একমাস সাউন্ড পালন করা ফরজ। 
  • দিদি ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি। 
  • আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চাউমিন শিক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ। 
  • সাওম কেবল আমাদের উপর ফরজ নয়, বরং পূর্বের সকল নবী রাসূলের উম্মতের উপর ফরজ ছিল। 
  • এর মাধ্যমে সং পালনকারীর আর্থিক উৎকর্ষ সাধিত হয়। 
  • সাওমের মাধ্যমে মানুষের মন থেকে তাকওয়া অর্থাৎ আলোভিতি ও আলোর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। 

খোদা ও দৃষ্টার কাতর হয়েও মানুষ মহান আল্লাহর ভালোবাসা ও ভয় কিছুই পানাহার করে না এবং ইন্ডিয়া থেকে তৃপ্তি লাভ করে না। 

 অর্থাৎ এ থেকে বোঝা গেল যে শাওন হল এমন একটি পর্যায় বা ইসলামের স্তম্ভ যার মাধ্যমে, আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহতালার যে ফরজ ইবাদত কর্তব্য করেছে তা পালনের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সাথে পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা। 

সাওম কত প্রকার ও কি কি

ইসলামিক ব্যাখ্যা মতে  সাওমকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সে গুলো হলো :-

১.ফরজ রোজা,,

২.ওয়াজিব রোজা,,

৩.মুস্তাহাব রোজা,, 

৪.সুন্নত রোজা,,

৫. নফল রোজা,,

১.ফরজ রোজা: যে সকল রোজাগুলো প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে সেগুলোকে ফরজ রোজা বলে। 

২. ওয়াজিব রোজা: ফরয নাম রোজা পালনের যতটুকু সওয়াব রয়েছে ওয়াজিব রোজা পালনের সমতুল্য সওয়াব রয়েছে। ওয়াজিব রোজা পালনের মাধ্যমে ফরজ রোজা পালনের সমান নেকি অর্জন করা যায়। 

সাওম কাকে বলে
সাওম কাকে বলে

৩.মুস্তাহাব রোজা: অনেক পছন্দ করতেন এবং এ রোজা সম্পর্কে সুন্নতের সমতুল্য বলে।

৪.সুন্নত রোজা: সুন্নত রোজা গুণ হলো ওই সমস্ত রোজার যেগুলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর খুব পছন্দের রোজা ছিল। এবং এ রোজাগুলো মহানগর হযরত সবসময় পালন করতেন। 

৫.নফল রোজা: নফল রোজা গুলো পালন করতে সরাসরি ভাবে বলা হয়নি তবে রোজাগুলো পালন করলে সব অর্জন করা হয় এবং পালন না করলে কোন গুনাহ হয় না। 

ইসলামিক সাওম পালনের পাশাপাশি সাউন্ড পারোনির গুরুত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে জানা জরুরি। তাই ইসলামে সাউন পালন কে কতটি ভাগে বিভক্ত করেছে বা গুরুত্বের দিক দিয়ে কিভাবে ভাগ করা হয়েছে তা জানা প্রয়োজন। তাই ইসলামে সাওমকে, 

১.ফরজ রোজা,,

২.ওয়াজিব রোজা,,

৩.মুস্তাহাব রোজা,, 

৪.সুন্নত রোজা,,

৫. নফল রোজা,,এই পাঁচটি ভাগে বিভক্ত এবং গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন: ইবাদত কাকে বলে

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে সাওম কাকে বলে সাউন্ড কত প্রকার ও কি কি সম্পাদনের নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সাওম  সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। 

আবার সাওম সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানা ছিল তা যদি আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন বা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *