যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত | যমুনা রেল সেতু কত
যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত: আমাদের দেশের ৩টি বড় নদীর মধ্যে বৃহত্তম ও পানি নির্গমনের দিক হতে পৃথিবীর ৫ম বৃহৎ নদী যমুনার ওপর এ সেতুটি নির্মিত হয়েছে।সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে, এই সব লোকেদের ধীরগতির ফেরি পরিষেবাগুলির উপর নির্ভর করতেও হয়েছিল।
এ সেতুটির নামকরন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নাম অনুসারে। যমুনা সেতু পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।
সড়ক এবং রেল পথে দ্রুত যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন ছাড়াও যমুনা সেতু বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন ও টেলিযোগাযোগ সমন্বিত করার সুযোগ করে দিয়েছে।
টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত এই যমুনা সেতু এশীয় মহাসড়ক ও আন্তঃএশীয় রেলপথের ও উপর অবস্থিত।
পূর্বাভাসিত দুর্যোগ এবং সম্ভাব্য ভূমিকম্প প্রতিরোধ করার জন্য, এই সেতুটি ৮০-৮৫ মিটার দীর্ঘ এবং ২.৫ মিটার ও ৩.১৫ মিটার ব্যাসের স্টিলের স্তূপে সমর্থিত, যেগুলি শক্তিশালী এই হাইড্রোলিক হাতুড়ি দ্বারা চালিত হয়েছিল।
এই যমুনা সেতুর মৌলিক বৈশিষ্ট্য হল দৈর্ঘ্য (প্রধান অংশ) ৪.৮ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮.৫ মিটার, স্প্যান ৪৯, ও রাস্তার লেন ৪।
প্রথম ১৯৪৯ সালে যমুনা সেতু রাজনৈতিক পর্যায়ে এই মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্থাপনের উদ্যোগ ও নেন।অন্য দিকে কিন্তু সেসময় এই সেতুটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
আবার কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যানবাহন চলাচল এর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
যমুনা সেতু | যমুনা সেতুর টোল
যমুনা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ গেজেট অনুযায়ী,এই মোটরসাইকেলের জন্য টোল রেট ৫০ টাকা, হালকা যানবাহন (কার/জীপ) এর জন্য ৫৫০ টাকা, হালকা যানবাহন এবং (মাইক্রো,পিকআপ) (১.৫ টন এর কম) ৬০০ টাকা,
ছোট বাসও (৩১ আসন বা এর কম) ৭৫০ টাকা, বড় বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) প্রায় ১,০০০ টাকা, ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার টাকা। এমন মাঝারি ট্রাক (৫ টন হতে ৮ টন পর্যন্ত) ১,২৫০ টাকা, মাঝারি এই ট্রাক (৮ টন হতে ১১ টন
পর্যন্ত) ১,৬০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল) ২,০০০ টাকা, ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৩,০০০ টাকা এবং ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক) প্রায় ৩,০০০ টাকা+ প্রতি এক্সেল এর জন্য ১,০০০ টাকা করে ও দিতে হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত এইটা করেছে।তাই বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টোলের হার নির্ধারণ করেও সরকার।
আবার গেজেট অনুযায়ী, মোটরসাইকেল, কার, বাস, ট্রাক ও ট্রেলারসহ বিভিন্ন যানবাহনের জন্য টোলের এমন হার ১০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকা হবে।তবে, ট্রেনের জন্য টোল এর হার বাৎসরিক ১ কোটি টাকা নেওয়া হয়ে থাকে।
যমুনা সেতুর টোল নির্ধারণ ২০২৩ করা হয়েছে। তাই কোন গাড়ি ও যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার সেইসকল গাড়িগুলোকে সেতু কর্তৃপক্ষ এর নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী প্রদান ও করতে হবে।
যমুনা সেতু কত কিলোমিটার লম্বা
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে এই দীর্ঘতম সেতু হরো যমুন সেতু। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের যোগাযোগের একটা অন্যতম যে সেতু সেটা হলো যমুনা সেতু।
এই সেতুর ফলে এই পূর্ববঙ্গের সাথে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের যাতায়ত ব্যবস্থা থেকে ও শুরু করে বিভিন্ন শিল্পকারখানা গড়ে ও উঠেছে।
বাংলাদেশের যমুনা সেতুর প্রায় মোট দৈর্ঘ্য হল ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।এই যমুনা সেতু বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম সেতু। যার দৈর্ঘ্য হলো ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ্য প্রায় ১৮.৫ মিটার।
এই যমুনা সেতুন স্থানাঙ্ক ২৪°২৩′৫৫″ উত্তর ৮৯°৪৬′৪২″ পূর্ব । এটা নির্মান কাজ শেষ হয় ১৯৯৮ সালে।
এটা নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেতু চালু হয় এই ১৯৯৮ সালের জুন মাসে। এ সেতুটি পৃতিবীর ১১ তম ও ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে।
এই পূর্বাভাসিত দুর্যোগ ও সম্ভাব্য ভূমিকম্প প্রতিরোধ করার জন্য, এই সেতুটি ৮০-৮৫ মিটার দীর্ঘ ও ২.৫ মিটার এবং ৩.১৫ মিটার ব্যাসের স্টিলের স্তূপে সমর্থিত, যে শক্তিশালী হাইড্রোলিক হাতুড়ি দ্বারা চালিত হয়েছিল।
যমুনা এই সেতুর মৌলিক বৈশিষ্ট্য হল দৈর্ঘ্য (প্রধান অংশ) ৪.৮ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮.৫ মিটার,এবং স্প্যান ৪৯, রাস্তার লেন ৪।
আমাদের দেশের ৩টি বড় নদীর মধ্যে বৃহত্তম ও পানি নির্গমনের দিক হতে পৃথিবীর ৫ম বৃহৎ নদী যমুনার ওপর এসেতুটি নির্মিত হয়েছে।
এই সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে, এবং লোকেদের ধীরগতির ফেরি পরিষেবাগুলির উপর নির্ভর করতে হয়েছিল। এ সেতুটির নামকরন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নাম অনুসারে।
যমুনা সেতু কত সালে উদ্বোধন হয়েছে
আমাদের যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশ এর যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক এবং রেল সেতু। প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এ সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু।
আবার ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এই যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর ও পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটা বিশ্বে ১১শ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।
আবার যমুনা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে বৃহত্তর ও প্রবাহিত পানি আয়তানিক পরিমাপ এর দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বহত্তম।
সেতুটি বাংলাদেশ এর পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের মধ্যে এটি কৌশলগত সংযোগ প্রতিষ্ঠিত করে।
একটি অত্র অঞ্চলের জনগণ এর জন্য বহুবিধ সুবিধা বয়ে আনে, আবার বিশেষত অভ্যন্তরীন এই পণ্য এবং যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত করে।আবার পরবর্তিতে এই সেতুর নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু।
যমুনা এই সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে। ১৯৯৪ সালের এই ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় ও ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচল এর জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
রিউমর স্ক্যানার টিম এর অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯৪ সালের ১০ এপ্রিল যমুনা সেতুর (বর্তমান বঙ্গবন্ধু সেতু) ভিত্তিপ্রস্তুর এবং স্থাপনের দিন যমুনা সেতুর সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করে এই আওয়ামী লীগের হরতাল ডাকেনি বরং দলীয় এই
কর্মসূচিতে ২ জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সেই সময় আবার আওয়ামী লীগ রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা এই হরতাল আহবান করেছিল। এছাড়া একদিনে জাতীয় পার্টি হরতাল ডেকেছিল।
যমুনা সেতু কত সালে চালু হয়
এই সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয় ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আইডিএ, এডিবি, জাপানের ওইসিএফ প্রত্যেকে প্রায় ২২ শতাংশ তহবিল সরবরাহ করে এবং বাকি ৩৪ শতাংশ ব্যয় বহনও করে বাংলাদেশ। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।
যমুনা নদীর প্রধান চ্যানেলের প্রস্থ প্রায় ৩.৫ কিলোমিটারের বেশি নয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ও বন্যাজনিত কারণের জন্য আরও কিছুটা প্রশস্ততা বাড়িয়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এর একটি সেতু যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হয়।
এই ভৌত অবকাঠামোর কাজ শুরু করার এক বছর পর ১৯৯৫ সালের এই অক্টোবর মাসে সেতুটির মূল অংশ ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ধরে চূড়ান্তও প্রকল্প অনুমোদিত হয়।
আবার যদি বর্ষার মৌসুমে নদী ১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রশস্ত হয়ে থাকে, সার্বিক প্রকল্প-ব্যয় অর্থনৈতিকভাবে এই ভাবে লাভজনক এমন রাখার জন্য উক্ত সংকোচন অত্যাবশ্যক বিবেচনাও করা হয়।
এই এজন্য অবশ্য নদীর প্রবাহ সেতুর নিচ দিয়ে সীমাবদ্ধও রাখার উদ্দেশ্যে নদী শাসনের প্রয়োজন দেখা দেয়।
সম্ভাব্য দুর্যোগ এবং ভূমিকম্প যাতে সহ্য করতে পারে সেজন্য সেতুটিকে ৮০-৮৫ মিটার লম্বা ও ২.৫ ও ৩.১৫ মিটার ব্যাসের ১২১টি ইস্পাতের খুঁটি এর উপর বসানো হয়েছে।
এ খুঁটিগুলি খুবই শক্তিশালী (২৪০ টন) হাইড্রোলিক হাতুড়ি দ্বারাও বসানো হয়। সেতুটি স্প্যানের সংখ্যা ৪৯ এবং ডেক খন্ড এর সংখ্যা ১,২৬৩। সেতু এর উপর দিয়ে ৪ লেনের সড়ক ও ২টি রেলট্রাক বসানো হয়েছে
পরবর্তিতে এই সেতুর নামকরণ করা হয় এই বঙ্গবন্ধু সেতু। যমুনা সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগও নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচল এর জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
যমুনা সেতুর খরচ কত
সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেতু চালু হয় ১৯৯৮ সালের জুন মাসে। এই লক্ষমাত্রা ছিল সেতু নির্মাণের ২৫ বছরে বিনিয়োগ এর টাকা তুলে আনা হবে। তবে এই নির্ধারিত সময়ের ৭ বছর আগে সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসে ।
বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম এবং বিশ্ব এর ১১তম দীর্ঘ সেতু এটি। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে এটি উদ্বোধনও করা হয়। বাংলাদেশের ৩টি বড় নদীর মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম ও পানি নির্গমনের দিক থেকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম নদী যমুনা এর উপর এটি নির্মিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের পুর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দুই অংশ একত্রিত করেছে।
এ সেতু নির্মাণের ফলে জনগণ বহুভাবে লাভবান হচ্ছে ও এটি আন্তঃআঞ্চলিক ব্যবসায় এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সড়ক এবং রেলপথে দ্রুত যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন ছাড়া এই সেতু বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন আবার টেলিযোগাযোগ সমন্বিত করার অপুর্ব সুযোগ করে দিয়েছে।
এই টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত সেতু এশীয় মহাসড়ক ও আন্তঃএশীয় রেলপথ এর উপর অবস্থিত।
আবার সম্ভাব্য দৈব দুর্বিপাক ও ভুমিকম্প যাতে সহ্য করতে পারে সেজন্য সেতুটিকে ৮০-৮৫ মিটার লম্বা এবং প্রায় ২.৫ ও ৩.১৫ মিটার ব্যাসের ১২১টি ইস্পাতের খুঁটি এর উপর বসানো হয়েছে। এ খুঁটিগুলি খুবই শক্তিশালী (২৪০টন) হাইড্রোলিক হাতুড়ি এর দ্বারা বসানো হয়।
যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত
এই যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপর এর অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু।প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এ সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু।আবার ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
এই যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।এই যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর এবং পশ্চিম তীরের এই সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে।
বঙ্গবন্ধু সেতুটি এই বাংলাদেশের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের মধ্যে এটি কৌশলগত সংযোগ প্রতিষ্ঠিত করে। একটি অত্র অঞ্চলের জনগণের জন্য অভ্যন্তরীনও পণ্য এবং যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা সহো বহুবিধ সুবিধাও বয়ে আনে।
পরবর্তিতে এ যমুনা সেতুর নামকরণ বঙ্গবন্ধু সেতু করা হয় । প্রায় ১৯৪৯ সালে যমুনা সেতু স্থাপন এর জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয়।
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম এ উদ্যোগ নেন। কিন্তু আবার তখন এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
এই ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সাল এর ২৩ জুন যমুনা সেতু যান চলাচল এর জন্য উন্মুক্ত করা হয় এবং তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে
এই যমুনা সেতু যেটা উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে একটি স্বপ্নেরও সেতু। যে সেতুটির মাধ্যমে উত্তরের প্রায় ১৬ টি জেলায় যোগাযোগ স্থাপনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল এই যমুনা সেতু।
আর এ সেতুটির অন্যতম আরেকটি নাম হল এই বঙ্গবন্ধু সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার এ সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় তম বৃহত্তম সেতু। ১৯৯৪ সাল ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সাল ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত বলে এ সেতুটির নামকরণ করা হয় যমুনা সেতু।বাংলাদেশের অন্যতম সেতু গুলোর মধ্যে এ সেতুটি অন্যতম হওয়ায় অনেক সময় ও অনেক ক্ষেত্রে এই সেতুটি সম্পর্কে অনেক ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন ও হতে হয় আমাদের।
যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এ প্রসঙ্গে জানিয়ে দিব। আর বিষয় টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আমাদের তাই ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারেও পড়তে হবে।
যমুনা সেতুটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পঞ্চম ও সারা বিশ্বের ৯২ তম বৃহত্তম সেতু। বাংলাদেশের তিনটি এই বড় নদীর মধ্যে বৃহত্তম এবং পানি নির্গমনের দিক থেকে বিশ্বের আবার পঞ্চম বৃহৎ নদী যমুনা এর উপর এটি নির্মিত হয়েছে।
আর এ সেতুটি নির্মাণের পর থেকে উত্তর অঞ্চলের মানুষ এর যোগাযোগের মাধ্যমটা ব্যাপকভাবে উন্নতি ঘটেছে। এ সেতুটি নির্মাণের ফলে ব্যবসায় এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সড়ক এবং রেলপথে দ্রুত যাত্রী ও
মালামাল পরিবহণ ছাড়াও এই সেতু বিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন ও টেলি যোগাযোগ সমন্বিত করার সুযোগও করে দিয়েছে। আর আবার সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয় ৯৬২ মিলিয়নও মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এর সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু হরো যমুন সেতু। টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের যোগাযোগ এর অন্যতম যে সেতু সেটা হলো যমুনা সেতু।
এ সেতুর ফলে পূর্ববঙ্গের সাথে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের যাতায়ত ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আবার বিভিন্ন শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে।
এই যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু নামে পরিচিত।এই যমুনা সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশ এর ২য় দীর্ঘতম সেতু।
একটি যমুনা নদীর উপর একটি সড়ক এবং রেল সেতু। আজকের এই পোস্টে আপনাদের জানাব বাংলাদেশের যমুনা সেতু এর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার।
যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত কিলোমিটার?
যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতুর নাম কি?
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের পাবনা এই জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা পর্যন্ত যুক্তকারী একটি এই রেলসেতু। একটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ এই রেলসেতু হিসেবে পরিচিত।
আবার পাবনা জেলার পাকশী রেলস্টেশনের দক্ষিণে পদ্মা নদীর উপর এই সেতুটি অবস্থিত। এ সেতুর নির্মাণকাল ১৯০৯-১৯১৫।
যমুনা সেতুর টোল কত টাকা?
বর্তমান টোল হার অনুসার এর ,এই সেতুটি ব্যবহারের জন্য মোটরসাইকলকে ১০ টাকা, অটোরিকশাকে ২০ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়িকে ৪০ টাকা, মিনিবাসকে ১০০ টাকা, বাসকে ২০০ টাকা,
ছোট ট্রাককে ১৫০ টাকা ও বড় ট্রাককে প্রায় ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। আবার গতকাল সেতু কর্তৃপক্ষ বোর্ড এর সামনে আবারও টোল বাড়ানোর প্রস্তাব রাখে।
যমুনা সেতু কে তৈরি করেন
১৯৯৪ সালে জাপান সরকার এর সহায়তায় যমুনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হলে ১৯৯৮ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সর্বপ্রথম এই মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি যমুনা নদীর সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করেন।
যমুনা রেল সেতু কত কিলোমিটার?
এই সেতুটি ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। উভয় প্রান্তে মোট প্রায় ০.০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, এবং প্রায় ৭.৬৬৭ কিলোমিটার এপ্রোচ এমব্যাংমেন্ট এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট প্রায় আবার ৩০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতুর নাম কি?
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশ এর পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারাতে উপজেলা পর্যন্ত যুক্তকারী একটি রেলসেতু।