ব্যাকরণ কি? ব্যাকরণ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি এবং তাদের প্রত্যেকটির সংঙ্গা
ব্যাকরণ কাকে বলে: এটি সাধারণ ব্যাকরণের অধিক বিস্তৃত ও উন্নত অংশগুলো পর্যবেক্ষণ করে। উচ্চতর ব্যাকরণ আলোচনা করে ভাষার বিভিন্ন পার্থক্য
বাংলা ব্যাকরণ কি
বাংলা ব্যাকরণ হলো বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক নিয়ম, যা বাংলা ভাষার বাক্যগঠন, শব্দ পরিচয়, বাক্য পরিচয়, পদ পরিচয়, কারক, বচন, লিঙ্গ, ক্রিয়া, বিশেষ্য, বিশেষণ ইত্যাদি সম্পর্কিত নিয়ম ও প্রক্রিয়াগুলি নির্ধারণ করে।
ব্যাকরণ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
বাংলা ব্যাকরণ হলো বাংলা ভাষার নিয়মাবলী বা নিয়ম যা বাংলা ভাষার বাক্যগঠন, শব্দ পরিচয়, বাক্য পরিচয়, পদ পরিচয়, কারক, বচন, লিঙ্গ, ক্রিয়া, বিশেষ্য, বিশেষণ ইত্যাদি সম্পর্কিত নিয়ম ও প্রক্রিয়াগুলি নির্ধারণ করে। এটি বাংলা ভাষার নিয়মিত ব্যবহার এবং সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাংলা ব্যাকরণের মূলত তিনটি প্রকার রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
সাধারণ ব্যাকরণ (প্রতিষ্ঠানিক ব্যাকরণ): এটি বাংলা ভাষার নিয়মাবলীর মূল প্রকার। এটি বাংলা ভাষার সাধারণ নিয়ম, বাক্য গঠন, শব্দ পরিচয়, শব্দ গঠন, বিভক্তি, সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, প্রত্যয়, কারক, বচন, লিঙ্গ, ক্রিয়া, বিশেষ্য, বিশেষণ ইত্যাদি নিয়মাবলী নিয়ে কথা বলে।
উচ্চতর ব্যাকরণ (ব্যাকরণের বিস্তৃত অংশ): এটি সাধারণ ব্যাকরণের অধিক বিস্তৃত ও উন্নত অংশগুলো পর্যবেক্ষণ করে। উচ্চতর ব্যাকরণ আলোচনা করে ভাষার বিভিন্ন পার্থক্য, মহাকার্য, মূলতত্ত্ব, ব্যাখ্যা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে। এটি ভাষাবিদ্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এবং সাধারণ ব্যাকরণের পরে পড়া হয়।
ঐতিহাসিক ব্যাকরণ (প্রাচীন ব্যাকরণ): এটি প্রাচীন কালে প্রচলিত বাংলা ভাষার নিয়মাবলী নিয়ে কথা বলে। ঐতিহাসিক ব্যাকরণে বাংলা ভাষার প্রাচীন সময়ের নিয়মাবলী, বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত ব্যাকরণিক নিয়ম, প্রাচীন লেখকদের ব্যাকরণিক মতামত ইত্যাদি অধ্যয়ন করা হয়। এটি প্রাচীন বাংলা ভাষার নিয়মাবলীকে জানতে ও বুঝতে সাহায্য করে।
ব্যাকরণ শব্দের অর্থ কি
ব্যাকরণ শব্দের অর্থ হলো ভাষার নিয়ম বা নিয়মাবলী সংক্রান্ত শিক্ষার একটি শাখা। ব্যাকরণ নিয়ে অধ্যয়ন করে মানুষ কিভাবে ভাষার নিয়মিত ব্যবহার করতে পারে, ভাষার বিভিন্ন ঘটনা বা অপরিষ্কার দশা কেন এবং সেই সমস্যার সমাধান কী হতে পারে তা নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা করা হয়।
ব্যাকরণ একটি সাংবিধানিক বিষয়, যা প্রতিষ্ঠিত নিয়ম এবং নিয়মাবলীর মাধ্যমে ভাষার বিভিন্ন আয়ত্তের নিয়ম এবং পরিচিতি নির্ধারণ করে। এটি ভাষাবিদ্যার একটি প্রধান অংশ এবং ভাষার সঠিক ও যৌক্তিক ব্যবহার বিষয়ে মানুষকে শিক্ষা দেয়।
বাংলা ব্যাকরণের জনক কে
বাংলা ব্যাকরণের জনক হলেন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (1820-1891)। তিনি বাংলা ভাষার ব্যাকরণের পিতামহ হিসেবে পরিচিত।
তিনি সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ ‘ব্যাকরণমূকাব্য’ লেখনে পরিচিত। ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একজন প্রখ্যাত বিদ্যালয় শিক্ষক, বাংলা সাহিত্যিক এবং ভাষাবিদ ছিলেন।
তাঁর ব্যাকরণমূকাব্য বাংলা ভাষার ব্যাকরণ পর্যালোচনার একটি সুপ্রাসিদ্ধ গ্রন্থ। তিনি একজন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ব্যাকরণিক প্রকাশক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তাঁর কাজের প্রভাব এখনো বাংলা ব্যাকরণ অধ্যয়নে দেখা যায়।
বাংলা ব্যাকরণের মাধ্যমে বাক্য গঠন, শব্দ পরিচয়, শব্দ গঠন, বিভক্তি, সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, প্রত্যয়, কারক, বচন, লিঙ্গ, ক্রিয়া, বিশেষ্য, বিশেষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো সংযোজনশীল নিয়ম অনুযায়ী শিখানো হয়।