ব্যবস্থাপনা কী? ব্যবস্থাপনা কাকে বলে – ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি

ব্যবস্থাপনা কী? ব্যবস্থাপনা কাকে বলে – ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি, অফিস ব্যবস্থাপনা কাকে বলে, আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে,

কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে, ব্যবস্থাপনা কত প্রকার, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে, ব্যবস্থাপনা চিন্তাধারা কাকে বলে,

ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাকে বলে, ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী, ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা কাকে বলে, ব্যবস্থাপনা ধারণা, ব্যবস্থাপনা কাকে বলে, ব্যবস্থাপনা

অফিস ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

অফিস ব্যবস্থাপনা হলো এমন পদক্ষেপ এবং প্রক্রিয়া যা করে একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দিকে নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয় সহায়ক হয়।

 এটি প্রধানতঃ কর্মকর্তা, সহযোগীগণ, সম্পদ এবং সংস্থার প্রস্তুতি সম্পর্কিত বিষয়ে সম্পাদন করা যায়, যাতে সংস্থা কার্যকরভাবে চলতে থাকে।

এটি কার্যগত প্রস্তুতি, পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মকর্তা মোতিবেশন এবং সংস্থার লক্ষ্যগুলির সাথে সঙ্গতি তৈরি করে। আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

আধুনিক ব্যবস্থাপনা তাত্ত্বিকভাবে উন্নত এবং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার একটি পদ্ধতি বোধ করায়। 

এটি প্রবৃদ্ধির সাথে প্রবৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াগুলি নির্ধারণ করে, উপরিস্থিতি ও সম্পদ সম্পর্কিত সঠিক নির্ধারণ করে এবং কর্মকর্তাদের সম্প্রসারণ এবং সহায়তায় সাহায্য করে।

আধুনিক ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলি অনুসরণ এবং উন্নত করার জন্য প্রযুক্তি, তথ্য ব্যবস্থাপনা, মানব সম্পদ পরিচালনা, প্রকল্প পরিচালনা, বিত্তীয় পরিচালনা, সামাজিক পরিবর্তন এবং নতুন আইডিয়া এবং উদ্ভাবনের জন্য উপকরণ ব্যবহার করে। 

এর লক্ষ্য হলো ব্যবসায়িক কর্মক্রমের কৌশল এবং প্রদর্শন বৃদ্ধি করা, সংগঠনাত্মক সামগ্রী প্রবৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াগুলি উপায়ে সাহায্য করা।

কর্মী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

কর্মী ব্যবস্থাপনা হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সংস্থা বা কোম্পানির কর্মীগণের সংস্থান এবং কর্মকাণ্ডগুলি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করা হয়। 

এটি কর্মীদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, উন্নতি, উত্তরাধিকারী এবং সমস্যা সমাধানে মদ্দে আসে। এটি প্রবৃদ্ধি এবং সংগঠনের প্রক্রিয়াগুলি সমাগত করার জন্য কর্মীদের সাথে সক্ষম যোগাযোগ এবং উত্তরবদ্ধভাবে প্রবর্তন করার পরিকল্পনা তৈরি করে।

কর্মী ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে আপনার টীম বা কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পরিচালনা, উন্নতি, মূল্যায়ন এবং সমস্যা সমাধান সহ অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম সহায়ক করা হয়। 

এটি কর্মীদের কার্যকরভাবে সংগঠিত করে, তাদের কার্যক্রম সমন্বয় করে, সৃজনশীলতা এবং উৎসাহ উন্নত করে, এবং প্রতিদিনের কর্ম চলাকালে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। এটি ব্যক্তিগত এবং দক্ষতা উন্নত করার পাশাপাশি সংস্থার লক্ষ্য এবং লক্ষ্যে অবদান করে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সংঘটিত দুর্যোগের সামগ্রিক প্রবন্ধন, উপকরণ, প্রতিষ্ঠানের তাত্ত্বিক এবং ব্যবসায়িক স্তরে প্রতিক্রিয়া, উত্তরগুলি এবং আগাম পরিকল্পনা সহায়ক করা হয়।

এর লক্ষ্য হলো দুর্যোগ সময়ে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক ক্ষতি কমাতে, জীবন এবং সম্পদ সংরক্ষণ করতে এবং দুর্যোগের পরবর্তী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিশ্চিত করতে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সামাজিক, আর্থিক এবং প্রতিষ্ঠানিক স্তরে দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এটি দুর্যোগের আগে প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনা, ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপাতত প্রতিক্রিয়া গঠন করে।

 এটি সুরক্ষা পরিস্থিতি উন্নত করে, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং সম্প্রতি সংঘটিত দুর্যোগের পর প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি দেয়।

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া এবং তথ্যগত উপাত্তগুলি ব্যবসায়িক প্রস্তুতি, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করা হয়।

এর মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক শোধ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করে নতুন উদ্ভাবন, উন্নতি এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াগুলি পূর্ণ করা হয়। 

এর লক্ষ্য হলো দ্বিধা এবং অনিশ্চয়তা কমাতে, তথ্যের ভিত্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ব্যবস্থাপনা করা, এবং বৈজ্ঞানিক শোধ এবং উন্নতির মাধ্যমে নতুন সমস্যা সমাধান করা। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক মেথডগুলি ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান এবং কার্যকর নির্ধারণ করা হয়।

 এটি সংশোধনীয় তথ্য, তথ্য ব্যবস্থাপনা, পরিসংখ্যান, উপাত্ত, পরিস্থিতি সংবর্ধন, উন্নত প্রযুক্তি এবং সম্প্রসারণ ব্যবহার করে। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা দ্বারা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তির উন্নতি, উৎপাদনশীলতা এবং নৈতিক সামর্থ্য বৃদ্ধি করা হয়

ব্যবস্থাপনা কাকে বলে।ব্যবস্থাপনা কত প্রকার

ব্যবস্থাপনা হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি সংস্থা বা প্রকল্প নির্দিষ্ট লক্ষ্যে উচ্চ স্তরে পরিচালিত হয়। এটি উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করার জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা, সম্পর্ক পরিচায়িত নীতি এবং সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব শখনির্মাণ করে।

ব্যবস্থাপনা কাজের সাধারণ প্রস্তুতি, পরিকল্পনা, সম্পর্ক নিয়ে সংগঠনের ভাগীদার সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক পরিচায়িত নীতি এবং দক্ষ মানুষ নিয়োগের মাধ্যমে বৃদ্ধি এবং উন্নতি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

 এটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক লক্ষ্যে কাজ করে এবং সংস্থা বা প্রকল্পের সামগ্রিক উন্নতি ও পরিপ্রেক্ষিত সাফল্য নিশ্চিত করতে মৌলিক।

ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন প্রকারে থাকতে পারে, যেমন:

১.প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা: সংস্থার দৈনিক কার্যক্রম ও প্রশাসন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা।

২.প্রকল্প ব্যবস্থাপনা: একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে প্রকল্প পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থাপনা।

৩.রিসোর্স ব্যবস্থাপনা: সংস্থার সাধারণ রিসোর্স যেমন মানুষ, অর্থ, সময় ইত্যাদি পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থাপনা।

৪.পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা: আপাতকালীন ঘটনাগুলির সময় প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থাপনা।

৫.মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা: কর্মকর্তাদির প্রগতি, উন্নতি এবং উন্নতির প্রোত্সাহন সহ মানব সম্পদ পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থাপনা।

৬.তত্ত্বাবধান ব্যবস্থাপনা: বিভিন্ন প্রকারের কাজ এবং প্রক্রিয়ার জন্য উপযুক্ত তত্ত্বাবধান নির্ধারণ করার ব্যবস্থাপনা।

৭.বিতর্ক ব্যবস্থাপনা: সংস্থার ভিতরে উত্থাপন ও সমস্যা সমাধানে বিতর্ক ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করা।

৮.পর্যাবলম্বন ব্যবস্থাপনা: বাহ্যিক পরিস্থিতি, বর্তমান স্থিতি এবং ভবিষ্যতের প্রতি পর্যাবলম্বন গ্রহণ করার ব্যবস্থাপনা।

৯.ডেটা ব্যবস্থাপনা: তথ্য এবং ডেটা সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, এবং ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থাপনা।

১০.পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা: প্রবৃত্তি, নীতি এবং প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা।

১১.ব্যবস্থাপনা উন্নতি: ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, সুচনা, এবং প্রক্রিয়ার উন্নতি ও অদ্যতন ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে মেলা।

১২.ক্রিয়াকলাপ ব্যবস্থাপনা: পূর্ণ কর্মদক্ষতা, প্রদর্শন মূলক মানবসম্পদ ব্যবহার এবং কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা।

১৩.রসিকতা ব্যবস্থাপনা: কর্মীদের মনোবিকার, উৎসাহ, এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থাপনা।

১৪.বাজেট ব্যবস্থাপনা: আর্থিক সম্পদ ও সম্পদ ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা, বাজেট পরিকল্পনা, এবং অনুসারণ।

১৫.যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা: সংস্থা ও ভাগীদারদের মধ্যে সম্প্রেষণ, যোগাযোগ এবং সম্পর্ক নিয়ে ব্যবস্থাপনা।

প্রতিটি ধারণার সাথে, ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন মৌলিক দিক আছে যা সংস্থার কার্যক্রম ও লক্ষ্যের উচ্চতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহার হয়।

ব্যবস্থাপনা চিন্তাধারা কাকে বলে

ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলে সেই ব্যক্তি যিনি একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা, পরিকল্পনা এবং সম্পাদনা সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পাদনে নেতৃত্ব দেয়।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যক্তির দায়িত্বে থাকে সংস্থার লক্ষ্য ও লক্ষ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, কর্মচারীদের নেতৃত্ব এবং মোটিভেশন বৃদ্ধি করা, আর্থিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত নির্ণয় গ্রহণ করা, সংস্থা ও বাজার পর্যবেক্ষণ করা, নীতি এবং পদ্ধতিতে নেতৃত্ব প্রদান করা ইত্যাদি।

ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী

ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনি কি জানতে চান তা সাহায্য করবে। ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা, সম্প্রসারণ,

সম্প্রসারণ, এবং পর্যবসায়ে সংগঠন সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন দক্ষতা সংযুক্ত করে। ব্যবস্থাপনার কার্যাবলী অনুসরণ করার জন্য কিছু  ধারণা নিচে আলোচনা করা হলো:

১.পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় সংস্থাপনা: প্রথমে যে কোন প্রকল্পের জন্য উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য স্থাপন করুন। এরপর সঠিক সম্পদ, সামগ্রী, মানবসম্পদ ইত্যাদি সংগঠন করুন।

২.যোগাযোগ এবং যোগদান: কর্মীদের মধ্যে ভাল যোগাযোগ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক যোগাযোগ মাধ্যম সাহায্য করতে পারে এবং কর্মীদের সমর্থন বৃদ্ধি করতে পারে।

৩.সময় পরিস্থিতি এবং সময় ব্যবহার: সঠিক সময় ব্যবহার এবং কার্যক্রমের সময়সূচী পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

৪.পর্যাপ্ত সম্পদ এবং সামগ্রী: কাজ শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং সামগ্রী সংগ্রহ করতে সমর্থ হতে হবে।

৫.দক্ষ মানবসম্পদ: যেসব কর্মীগণ আপনার সাথে কাজ করবে, তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সমর্পণ গুরুত্বপূর্ণ।

৬.পর্যবসায় নীতি এবং নির্দেশিকা: প্রতিষ্ঠানের নীতি এবং নির্দেশিকা সম্পর্কে কর্মীদের সঠিক ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

৭.পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন: প্রকল্পের পুরোপুরি চলতে পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।

৮.সমস্যা সমাধান: সমস্যার সাম্প্রতিক্যে প্রয়োজন হলে সেগুলি সমাধান করার উপায় সন্ধান করা গুরুত্বপূর্ণ।

৯.টিম নির্মাণ এবং মোটিভেশন: একটি কার্য প্রকল্পে সঠিক সংখ্যক এবং যোগ্য কর্মী নিয়োগ করুন এবং তাদের মোটিভেট রাখুন।

১০.উপযুক্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া: প্রশাসনিক কাজে সম্পদ এবং সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার এবং প্রক্রিয়াগুলি একটি সহজ এবং কার্যকর প্রয়োজনীয়।

১১.রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: সঠিক রকমে রিস্ক অবলোপন এবং ম্যানেজ করতে উপায় সন্ধান করুন।

১২.প্রশাসনিক যোগাযোগ ও সামাজিকভাবে দক্ষতা: আপনার টীমের সদস্যের সাথে ভাল সম্পর্ক উত্থাপন করতে অবশ্যই যোগাযোগ দক্ষতা সহ সামাজিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ দিন।

এই পদক্ষেপগুলি ব্যবস্থাপনার প্রকল্প বা কাজে আপনার সাহায্য করতে পারে, যাতে আপনি সঠিকভাবে নিজেকে সংগ্রহকৃত উদ্দেশ্যে পরিচায় করতে পারেন।

ব্যবস্থাপনা কী ব্যবস্থাপনা কাকে বলে ব্যবস্থাপনা কত প্রকার ও কি কি

ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম যা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও সম্পদের সঠিক উপযুক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দেশনা নিশ্চিত করে। এর প্রয়োজনীয়তা একাধিক দিক থেকে উভয়ই প্রকাশ পায়:

১.সংগঠনে সঠিক কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ: ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম এবং পদক্ষেপগুলির নিয়ন্ত্রণ রাখতে, যাতে সম্প্রদায়ের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলতে থাকে।

২.সম্পদের নির্দেশনা: সঠিক ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে উপায় খুঁজে বের করতে যাতে সম্পদের নির্দেশনা এবং উন্নতি সম্ভব হয়।

২.সংস্থার কাঠামো: সঠিক ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাঠামো নির্ধারণ করতে এবং একটি সুস্থ ও কার্যকরী পরিবেশ স্থাপন করতে।

৩.নিয়ম এবং নীতির প্রয়োজনীয়তা: সঠিক ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে নিয়ম এবং নীতির প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে, যা কর্মকর্তাদের সঠিক দিকে নিয়মিত নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দেয়।

৪.সময় ব্যবস্থাপনা: ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে সময় ব্যবস্থাপনা করতে, যাতে কার্যক্রম সঠিক সময়ে সম্পাদন করা যায় এবং প্রাথমিকতার অনুভূতি রক্ষা হয়।

৫.লোকের পরিচর্যা এবং নেতৃত্ব: ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে লোকের পরিচর্যা এবং নেতৃত্ব বৃদ্ধি করতে, যার মাধ্যমে দক্ষ এবং সমৃদ্ধ টিম গঠন সম্ভব হয়।

৬.রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে সংগঠনের মুখোমুখি এসে থাকা সমস্যার জন্য রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া তৈরি করতে, যাতে সম্পদ এবং নিশ্চিততা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

৭.পরিবর্তন প্রবর্তন: ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন প্রবর্তন সহ্য করতে, যাতে নতুন আইডিয়া এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন একটি স্বাগতপ্রাপ্ত প্রক্রিয়া হয়।

৮.কর্মীর উন্নতি এবং মোটিভেশন: ব্যবস্থাপনা সাহায্য করে কর্মীদের উন্নতি এবং মোটিভেশন বৃদ্ধি করতে, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সম্প্রেরণা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। সমগ্রভাবে, ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের সঠিক দিকে নির্দেশনা দেয় এবং সামগ্রিক উন্নতি এবং উন্নতি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য কি কি

ব্যবস্থাপনার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যে গুলো অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। ব্যবস্থাপনার  সম্পর্কে  উল্লিখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো :

১.নেতৃত্ব দক্ষতা: ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ উদ্দীপনা এবং নেতৃত্বে দক্ষ হতে পারেন।

২.কর্মচারী মোটিভেশন: তাদের দক্ষতা এবং প্রবৃত্তি বৃদ্ধির জন্য কর্মচারীদের মোটিভেট করতে সক্ষম।

৩.লিডারশিপ: ভালো লিডারশিপ দেওয়া, দক্ষতা দ্বারা নেতৃত্ব প্রদান করা এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে সম্মুখীন থাকা।

৪.সময় ব্যবস্থাপনা: সঠিক সময়ে সঠিক কাজে গুরুত্ব দেওয়া এবং কাজগুলি প্রাথমিকতা অনুসারে ব্যবস্থাপনা করা।

৫.পরিকল্পনা এবং পরিচালনা: প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং নীতির তৈরি করা, এবং তা সম্পাদন করা।

৬.সমস্যা সমাধান: সংস্থার সামনে উঠা যাওয়া সমস্যাদির জন্য কার্যকর সমাধান উপস্থাপন করা।

৭.সম্পর্ক প্রবর্ধন: সংস্থা এবং কর্মচারীর মধ্যে ভাল সম্পর্ক প্রবর্ধন করা, সংবাদাত্মক হতে পারে।

৮.সংবাদ ও প্রতিবেদন: সংস্থার উন্নতি এবং অবস্থান সম্পর্কিত উপযুক্ত সংবাদ ও প্রতিবেদন সরবরাহ করা।

৯.ক্রিয়াশীলতা ও সঠিক নিয়ম প্রয়োগ: নতুন এবং নবাগত নীতি এবং পদ্ধতি অবলম্বন করে সংস্থাকে এগিয়ে নেওয়া।

১০.সামাজিক সম্পর্ক: সামাজিক পরিবেশে সংস্থার প্রতিষ্ঠান এবং নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা করা। এই বৈশিষ্ট্যগুলি সমন্বয় করে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংস্থার কার্যক্রমে সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করে।

শিক্ষা ব্যবস্থাপনা কাকে বলে

শিক্ষা ব্যবস্থাপনা হলো শিক্ষামূলক কার্যক্রম ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে সম্পন্ন হয়। এটি শিক্ষা নীতি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উন্নতি, শিক্ষা সম্প্রসারণ, মান নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা মান উন্নয়ন এবং সামগ্রিক শিক্ষা সার্বিকতা সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করে।

শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাজেট পরিকল্পনা, শিক্ষকের নিয়োগ-উন্নতি, শিক্ষার্থীদের পড়াশোন পরিকল্পনা, শিক্ষা মান নিয়ন্ত্রণ,

শিক্ষা পরীক্ষা নিরীক্ষণ, শিক্ষা পর্যবেক্ষণ এবং শিক্ষা মান উন্নয়ন সহ বিভিন্ন দিক সমূহ। এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কার্যকরভাবে চালানো এবং শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা সরবরাহ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *