ড্রাগন ফলের উপকারিতা – ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল: বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অথবা ক্ষয় পূরণের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়া হয়ে থাকে। ড্রাগন ফল শান্তির জন্য উপকারী আবা আবার এটি অপকারী, গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা , ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, বাংলাদেশের ড্রাগন ফলের দাম কত ইত্যাদি জানা জরুরী।
এই পোস্টের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা প্রয়োজনীয়তা এবং মূল্য ইত্যাদি বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা: মানব শরীরের বিকাশের জন্য এবং গর্ব অবস্থায় ব্রণের বিকাশের জন্য, শরীরের রক্ত উৎপাদনের জন্য, শরীরের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্য এবং ড্রাগন ফল একটি উপকারী ফল।
ড্রাগন ফলে যতটুকু রয়েছে সেগুলো শুধু উপকারী দিকে লক্ষ্য করা যায় এর অপকারী দিক নিয়ে বললেই চলে।
গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে বাচ্চাদের জন্য এবং বড়দের জন্য বাংলাদেশের বাজারগুলোতে সহজলভ্য ভাবে পাওয়া ড্রাগন ফলটির উপকারিতা অত্যাধিক।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল হিসেবে ড্রাগন ফল পরিচিত।
ড্রাগন ফলে রয়েছে: ফাইটোক্যমিক্যালস, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন সি সহ আরো অনন্য উপাদান।
ব্রণের বৃদ্ধি: ব্রণের বৃদ্ধি ও কার্যকরী বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে ড্রাগন ফলে যা হল ভিটামিন বি ১।
কার্বোহাইড্রেট: কার্বোহাইড্রেট এর মূল উপাদান হচ্ছে ড্রাগন ফল। ছাড়াও ব্রণের মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট জরুরি।
গর্ভাবস্থায় উপকারী ভূমিকা: ড্রাগন ফলে এ সকল উপাদান বিদ্যমান থাকায় এটি গর্ভাবস্থায় উপকারী ভূমিকা পালন করে।
বাচ্চা জন্মগত ত্রুটি দূর করতে এবং বিভিন্ন ধরনের কোষ্ঠকাঠির নয় সমাধানে এটি ভূমিকা পালন করে।
ব্রনের বাচ্চার জন্য একটি উপকারী উপাদান হচ্ছে ফ্যাটি এসিড। ড্রাগন ফলটি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় গর্ব অবস্থায় এটি একটি উপকারী ফল।
শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে পেটের পরিমাণ জরুরী। ড্রাগন ফলে পেটের পরিমাণ লক্ষ্য করা যায় ১-১.০৬ মাএা।
এছাড়াও উক্ত ফলে ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান থাকায় এটি ভ্রুণ অবস্থার জন্য অত্যন্ত জরুরী ও কার্যকরী একটি ফল।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য বিভিন্ন ফল খাওয়া উপকারী হলে উক্ত কারণগুলোর জন্য ড্রাগন ফল খাওয়া জরুরি।
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
বর্তমান সময়ে সকলের কাজে পরিচিত একটি ফল হল ড্রাগন ফল। কিছু বছর যাবত বাজারে এই ফলটি পাওয়া যাচ্ছে এবং উক্ত ফলটির গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছি।
গুণগত কারণে এবং উপকারী দিক লক্ষ্য করে বা বিবেচনা করে প্রায় সকলেই এই ফলটি খেয়ে থাকে।
গুণগত দিক বিবেচনা করে অথবা ড্রাগন ফলের বিভিন্ন প্রজাতি বাজাতকে বিবেচনা করে এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে অনেকে ড্রাগন ফল চাষ করে।
ড্রাগন ফল চাষ করলে অথবা উপকারী দিক বিবেচনা করে এই ফলটি খেতে গেলে এই ফলের দাম নির্ধারণ অথবা দাম জানা জরুরী। ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ এই ফলটি ক্রেতাদের কেনার আগে অবশ্যই দাম জানতে হবে।
ভালো গুণগত মান সম্মানের ড্রাগন ফল বাংলাদেশ কিনতে গেলে তার প্রতি কেজির দাম হল 450 থেকে 500 টাকা।
তবে কেউ যদি ছোট মানের বা নিম্নমানের ড্রাগন ফল কিনতে চায় তাহলে সেগুলো ৩০০ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে পেয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে এই ফলটি বহুলভাবে চাষযোগ্য না হওয়ায় আমদানির উপর এর দাম নির্ভর করে থাকে।
ড্রাগন ফল উপকারিতা | ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি মানুষের হাড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে।
চুল পড়ার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল উপকারি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পড়ার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলের রস ব্যবহার করলে বাদ্রিশ নির্যাবৎ মাথায় দিয়ে রাখলে চুল পড়া রোধ হয়।
ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি। তাই ড্রাগন ফলের রস দিয়ে তৈরি মলম ব্যবহার করে মুখের ব্রণ এর দাগ বা এর সমস্যার সমাধান করা যায়।
উক্ত ফলে ৯০ শতাংশ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটি ক্যান্সার রোধ করার জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে।
শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল অনেক উপকারী।
গর্ভবতীদের জন্য এবং যেকোনো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল অনেক উপকারী।
দাগন ফলে বিচার কিরকম থাকার পরে চোখে বৃষ্টি শক্তির ক্ষেত্রে এবং চোখে ছানি পড়ায়ে সমস্যা রোধ করতে ব্যবহার করা হয়।
শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল অনেক উপকারী। সর্বোপরি ড্রাগন ফলের উপকারিতা প্রচুর।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
- ড্রাগন ফল খাওয়ার আগ্রহে তুলনায় তা খাওয়ার নিয়মসমূহ যথেষ্ট সহজ।
- প্রথমে অন্যান্য ফলের মতো এই ফলটির মাথার অংশ এবং নিচের অংশ কেটে নিতে হবে।
- তার পর থেকে ফলটিকে সরাসরি মাঝ বরাবর কাটতে হবে।
- এবার ফলের উপরে থাকা চলা টি সরিয়ে ফেলতে হবে।
- তারপর টুকরো টুকরো ছোট ছোট অংশ করে ফলটিকে কেটে নিতে হবে।
- নানা ধরনের রেসিপি-র মাধ্যমে খাওয়া যায় এবার পোল্টটিকে অথবা ফলটিকে ব্লেন্ডারের মাধ্যমে জুস করে খাওয়া যেতে পারে।
- তারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা এটিকে সকালে আবার হিসেবে খেতে পারি।
- বিভিন্ন ফল এর মত নয় বরং এটিকে সালাত হিসেবেও পরিবেশন বা খাওয়া যায়।
- ডায়েটে থাকার ক্ষেত্রে এটি আবার ছোট ছোট টুকরাগুলো নির্দিষ্ট আকারে বা পরিমাণ মতো খাওয়া যেতে পারে।
- দুঃস্বাদু এফ ফলটি কি এভাবে পরিবেশন বা খাওয়া যায়।
- এরপর যে খাবার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম কানুন রয়েছে এরকম নয় তবে এটি কিভাবে কেটে বা খেতে হবে তার এখানে দেওয়া হলো।
স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য এই ফলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
- সাধারণভাবে ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো ভোরবেলা অভুক্ত অবস্থায় এবং ব্যায়ামের আগে।
- ড্রাগন ফল ও সাধারণত ভোরবেলা অভুক্ত অবস্থায় এবং ব্যায়াম এর আগে খাওয়া সঠিক সময়।
- ভোরবেলা যখন কোন ব্যক্তি অভুক্ত অবস্থায় থাকে সেসময় শর্করা করা জাতীয় ড্রাগন ফলটি খাওয়ার সময়।
- এছাড়াও দুইটি খাবার খাওয়ার মধ্যবর্তী বিরতির যে সময় রয়েছে ওই সময় ড্রাগন ফল খাওয়ার সময়।
- আহারের আগে বা পরে সরাসরি ফল খাওয়ার কথা বলা হয় না তবে আহারের পরপর যদি ড্রাগন ফল খাওয়া হয় তাহলে এসেছি সরবরা জাতীয় অন্যান্য উপাদান কে পাকস্থলীতে পৌঁছাতে বাধা দেয় এজন্য খাওয়ার পরে নয় বরং খাওয়ার আগে ফল খাওয়া যেতে পারে।
- ব্যায়ামের জন্য শর্করা জাতীয় ড্রাগন ফল একটি উপকারী ফল। ড্রাগন ফলটি ব্যায়ামের পূর্বে অথবা পরে খাওয়া যেতে পারে।
- যদি কোন ব্যক্তি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে অথবা এডিটি আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে ড্রাগন ফল ঠিক হওয়ার সঠিক সময়।
- আবার ব্যায়ামের ক্ষেত্রে এ খাবারটি ব্যায়ামের আগে অথবা পরে খেলে শরীরে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত এবং শক্তির অভাব পূরণ করে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি উপকারী ফল মানব স্বাস্থ্যের জন্য, তবে উত্তর ড্রাগন ফলের কিছু অপকারী দিক রয়েছে।
নিম্নে ড্রাগন ফলের অপকারই দিকগুলো তুলে ধরা হলো :
বিভিন্ন রোগের ঔষুধের সাথে ড্রাগন ফল খেলে অপকারিতা বা মিতস্ক্রিয়তা দেখা দিতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রাগন ফল খেতে হবে।
উচ্চ সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যে সকল ড্রাগন ফল অজৈব তাদের মধ্যে কীটনাশক বিতরণশীল থাকতে পারে। আয় খাওয়ার আগে পলটির খোসা ছাড়ানো বা ভালোভাবে ধৌত করে খাওয়া জরুরী।
কখনো কখনো ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে পরিণত পরিমাণে চিনি খেতে হয়। ড্রাগন ফলে চিনি জাতীয় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি অন্য প্রভাব ফেলতে পারে।
অনেকে গুনাগুন না জেনে এই ফলটিকে নিম্নমানের বা অপকারী বলে মনে করে। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এ ফলটি খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলে রয়েছে ১৩৬ মাত্রার ক্যলরি।
- এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলটিতে রয়েছে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ১৮, এবং আয়রনের মাত্রা ১৮, এবং ভিটামিনের মাত্রা রয়েছে ৪ শতাংশ।
- উক্ত ফলটিতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা এবং বিদ্যমান ফলের ফাইবার মানুষের শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য রয়েছে ভিটামিন সি।
- এছাড়াও এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভিক্টোরিয়াজনিত সমস্যা রোধ করে।
- উক্ত ফলটি চোখে দৃষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে।
- ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি থাকার ফলে এতে চর্বি জাতীয় কোন উপাদান নেই এবং এটি শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করে।
- ড্রাগন ফলে ক্যালরি বিদ্যমান থাকা এটি পাওয়ার ফলে মানব শরীরে সতেজতা বৃদ্ধি পায়।
- শরীরের সচেতা বৃদ্ধি করতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং হজমের জন্য একটি উপকারী ফল হল ড্রাগন ফল।
- ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারি এরকম সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়।
- মানুষের মস্তিষ্ক বা মানসিক চাপ কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- সর্বোপরি স্বাস্থ্যের জন্য একটি উপকারী ফল হল ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সাধারণত শাস্তির জন্য ফল সর্বদা উপকারী হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন প্রয়োজন ভেদে অথবা বিভিন্ন কারণে ফলসমূহের উপকারী এবং অপকারী এ দুইটি লক্ষণ দেখা দেয়। ড্রাগন পরের কিছু উপকারিতা রয়েছে এবং অপকারিতা রয়েছে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা:
- ড্রাগন ফলে রয়েছে উচ্চ পরিমাণের ফাইবার ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্যটি এসিড।
- হজমের জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি উপকারী ফল হল ড্রাগন ফল।
- দেহের অর্থাৎ সাস্থ্য উপকারী দিকের মধ্যে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি একটি উপকারী দিক পালন করে।
- ড্রাগন ফল খেলে শরীরের রক্ত বাড়ে।
- মানসিক চাপ দূর করার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলের ভূমিকা রয়েছে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা:
- এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর একটি অন্যতম খাবার হল ড্রাগন ফল।
- ড্রাগন ফলে কাল শরীরের উপকার না হয়ে অপকার হয় এরকম লক্ষণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
- কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ইহার মিথস্ক্রিয়তা বা খারাপ সমস্যা দেখা দেয়।
- যে ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলকে অপকারি ফল বলা হয় না। কারণ এলার্জি বা অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ডায়াবেটিসহ রোগে আক্রান্ত এরকম ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন বেধে এবং মাত্রা ঠিক রেখে বল না খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
- অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা ড্রাগন করে খোঁচা খেয়ে ফেলে দেই। আবার অনেকে ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না।
- ড্রাগন ফলের খোশাকে খাবার উপযোগী করে তোলার জন্য প্রথমত ড্রাগন ফল টি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- খোঁসাগুলোকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।
- আরিয়ে নেওয়া খোশাগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে।
- কেটে নেওয়া ছোট ছোট অংশগুলোকে আড়াইশো গ্রাম পানির সাথে মিশিয়ে প্রথমত সেদ্ধ করতে হবে।
- খোসা গুলোতে যে সকল উপকারিতা রয়েছে তা পানির সাথে মিশে যাবে এবং মিশে যাওয়ার জন্য আস্তে আস্তে করে অর্থাৎ চুলার আগুনের পরিমাণ একটু কম আছে রেখে সেগুলোকে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
- পাঁচ অথবা সাত মিনিট ফুটন্ত পানিতে খোসা গুলো রাখার ফলে খোসা গুলোতে অবস্থানরত সকল পুষ্টিগুণ আগুন পানির সাথে মিশে যাবে।
- পরবর্তীতে এই উপকারী আগুনের খোসাগুলো মিশ্রিত পানিটি জুস আকারে অথবা অন্য যেকোন ভাবে খাওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত মোটা অথবা পেট মোটা এক্ষেত্রে এটি অনেক উপকার ।
- বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্যের প্রতি অধিক সচেতন তারা ডায়েটের ক্ষেত্রে এটি খেতে পারে।
ড্রাগন ফলের দাম
- ড্রাগন ফল একটি উপকারী ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টিগুনি সমৃদ্ধ একটি ফল।
- বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে ড্রাগন ফল এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছি।
- বাংলাদেশের ড্রাগন ফল প্রথমত উৎপাদন করা হতো না তবে বর্তমান সময়ে অনেকের ড্রাগন ফল উৎপাদন করছে।
- যারা ড্রাগন ফল উৎপাদন করছে অথবা যারা ক্রেতা বা বিক্রেতা সকলের ড্রাগন ফল এর দাম জানা জরুরী।
- তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের ড্রাগন ফল কম থাকার কারণে অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় বলে এর দাম যথাযথ কারো কারো কাছে বেশি মনে হতে পারে।
- শুধু ফল নয় যেকোনো পণ্য অথবা খাবারের ক্ষেত্রে গুণাগুণ এর মানের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়।
- বাংলাদেশের ভালো প্রজাতি অথবা ভালো মানের ড্রাগন ফল গুরুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
- তবে কিছু কিছু সাধারণ বা নিম্নমানের পর রয়েছে যেগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম।
- তবে বাংলাদেশে ভালো মানের প্রতীককে যে ড্রাগন ফলের দাম হলো ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
- তবে কেউ যদি নিম্নমানের বাইকটু কম দামের মধ্যে কিনতে যায় তাহলে সেগুলো কেনা যেতে পারে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে একটি প্রজাতির রয়েছে লাল ড্রাগন ফল।
আয়রনের উৎস হিসেবে একটি উপকারী ফল হলো লাল ড্রাগন ফল।
দেহের হার গঠনে এবং হার মজবুত করার জন্য লাল ড্রাগন ফলে রয়েছে এ ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ উপাদান সমূহ।
আয়তন তো এবং দৃষ্টি শক্তির উপকারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের উপাদান সমৃদ্ধে ভরপুর রয়েছে লাল ড্রাগন ফল।
লাল ড্রাগন ফলকে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর বান্দার বলা হয়ে থাকে।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রূপ প্রতিরোধ অথবা শরীরের শক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে লাল ড্রাগন ফল উপকারি ভূমিকা পালন করে।
লাল ড্রাগন ফলে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভিটামিন এ এবং বি।
সর্বোপরি দেহে রক্ত উৎপাদন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ফলমূলের মধ্যে একটি অন্যতম ও প্রধান ফল হল ড্রাগন ফল।
তবে লাল ড্রাগন ফল শরীরের রক্ত উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনের জন্য লাল রঙের ড্রাগনের ফল সবচেয়ে বেশি উপকারী।
আগুনের ফলসমূহের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারভেদ থাকলেও শরীরের উপকারের জন্য রক্ত উৎপাদন ও সর্বক্ষেত্রে লাল রঙের ড্রাগন ফলটি সর্বোত্তম।
শেষ কথা: প্রিয় পাঠক পরিশেষে আপনাদের উদ্দেশ্যে জানাচ্ছি,,ড্রাগন ফল মানব শরীরের জন্য সর্বোপরি উপকারী একটি ফল।শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে এটি একটি কার্যকরী ঔষধ রুপি একটি ফল।
ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিস্তারিত এই পোস্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনাদের যা জানার ছিল তা যদি আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
ড্রাগন ফল জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য আমাদের পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে দেয়া হলো :-
১. ড্রাগন ফলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তর : ড্রাগন ফল খেলে ওজন বাড়ে না বরং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি খাওয়া হয়।
২. ড্রাগন ফলে ভিটামিন কি?
উত্তর : ড্রাগন ফুলের ভিটামিন হলো :
ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই ইত্যাদি।
৩.ড্রাগন ফল কত দিনে ধরে?
উত্তর : ড্রাগন ফলের গাছে ফুল দড়ি এবং ফুল ধরা 35 থেকে 40 দিন পরে ফল ধরে।
৪.ড্রাগন ফল উপকারিতা কি কি?
= গর্ভবতীদের, এবং শিশুসহ বড়দের সকলের কেএলসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালোরি বৃদ্ধিতে উপকারী ফল হল ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন বি ১।
কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পুষ্টি বিকাশে ড্রাগন ফল এর উপকারিতা রয়েছে।
৫.ড্রাগন ফল কত প্রকার?
উত্তর: ড্রাগন ফল তিন প্রকার।
৬.একটা ড্রাগন ফলে কত ক্যালরি?
উত্তর: একটি ড্রাগন ফলে ১৩৬ ক্যালোরি থাকে।
৭.ড্রাগন ফল কেন খাবেন?
উত্তর: পুষ্টি বিকাশে এবং রক্ত উৎপাদনের জন্য ড্রাগন ফল খাবেন। ক্যালসিয়াম বৃদ্ধিতে এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় পূরণের জন্য ড্রাগন ফল খাবেন।
আরো পড়ুন: আমের উপকারিতা ও অপকারিতা
৮.ড্রাগন এর অর্থ কি?
উত্তর : ড্রাগন এর অর্থ হলো অগ্নিবর্ষণকারী কল্পিত সাপ ্যা পাখাযুক্ত।
৯.ইতিহাসে ড্রাগনের কথা প্রথম কবে পাওয়া যায়?
উত্তর : ইতিহাসের ড্রাগনের কথা সর্বপ্রথম খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের শেষ দিকে পাওয়া যায়।