টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে | টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয় কি
টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে?
বর্তমান সময়ে,,,
এই বর্ষা মৌসুমে টাইফয়েড জ্বর একটি মারাত্মক রোগ হিসেবে বিবেচিত। যদি কোন ব্যক্তির টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে চিকিৎসা শুরুর ৫ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা সম্পর্কিত জটিলতা দেখা দিলে অথবা ডাক্তার দেখাতে বেশি সময় নেওয়া হলে এরূপ থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে এক মাস বা 15 দিনের মতো সময় লেগে যেতে পারে।
টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয় কি
টাইফয়েড জ্বর হলে প্রথমে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার নিশ্চিত হতে হবে।রক্তের কালচারের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করতে হবে।
ডাক্তারগন বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন দিনে চার-পাঁচবার খাওয়ার জন্য।এন্টিবায়োটিক গুলো যথাযথভাবে খেতে হবে সুস্থ হওয়ার জন্য। এ রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক এর পাশাপাশি বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়।
তবে তিন ধরনের ইনজেকশন রয়েছে এ রোগের জন্য। থাকার জন্য বাইরে জ্বর থেকে যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায় সেই চেষ্টায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔপন এবং চিকিৎসা নিতে হবে।
ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য আক্তার যে সকল ইনজেকশন বা ওষুধ গুলো দিয়ে থাকেন সেগুলো যথাযথভাবে সেবন করতে হবে।
টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে
টাইফয়েড জ্বর সাধারণত জীবাণুর মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি ও কোন না কোনভাবে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত বা সংস্পর্শিত হয়েছে তাই টাইপের জোরে আক্রান্ত হতে পেরেছে।
যে সকল ব্যক্তিগণ টাইপর ধরে আক্রান্ত থাকে তাদের সেবা করার ক্ষেত্রে বা যত্ন করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।
সময় এমন হয়ে থাকে যে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ফলে একজন সুস্থ ব্যক্তি কে রোগে আক্রান্ত হয়।
কিডনিতে সমস্যা মেরুদন্ডী এবং অগ্নাশয় বিভিন্ন জায়গায় এ রোগের প্রধা হতে পারে।
সালমোনেলা টাইফি,,,, এ ব্যাকটেরিয়া টি হল টাইফয়েড জ্বরের জন্য দায়ী।
আর হ্যাঁ,, টাইফয়েড জ্বর এই রোগটি হলো একটি ছোঁয়াচে রোগ।
তাই এ ক্ষেত্রে সকলের সচেতন হওয়া জরুরী।
টাইফয়েড রোগ বিস্তারের মাধ্যম
টাইফয়েড রূপটি বিভিন্ন ধরনের দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ছরিয়ে থাকে। ফলে জীবাণু সংস্পর্শে রোগটি হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় যার মধ্যে অন্যতম উপসর্গ হলো জ্বর হওয়া।
টাইফয়েড রোগটি হচ্ছে একটি পানিবাহিত রোগ।
” সালমোনেয়ালা টাইফি এবং সালমোনেনা প্যারাটাইফি ” এই দুই ধরনের সংক্রমণের ফলে তাইপেড রূপ আর বিস্তার হয়।
এ সকল সংক্রমণের মাধ্যমে পারিবাহিত এ রোগটি একজন মানুষের দেহে সংক্রমণ হয়ে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও তার ভিতরে ভাইরাসটি সংক্রমিত থেকে যায়। বলে কিছুদিন পর আবারও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
ভাই এর রোগটি থেকে বাঁচতে হলে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এরোগকে প্রতিরোধ করতে হবে প্রয়োজনীয় ইনজেকশন এর মাধ্যমে হলেও।
মানব দেহের শরীরের পিত্ত থলিতে এ ভাইরাসগুলো সুস্থ হওয়ার পরেও থাকতে পারে,, তাই অবশ্যই এরূপকে প্রতিহত করার জন্য যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে।পরিষ্কার ও সুস্থ পরিবেশে থাকতে হবে এবং পরিষ্কার সুস্থ ও ভালো খাবার নিতে হবে।