ইবাদত কাকে বলে? ইবাদতের সংজ্ঞা ও উদাহরণ

ইবাদত কাকে বলে: প্রত্যেক মুসলমানের উপর আল্লাহতালা ইবাদত করাকে ফরজ করেছেন। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত করা। ইবাদত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে ইবাদত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

প্রথমত আমাদেরকে ইবাদত কাকে বলে ইবাদতের সংজ্ঞা ও উদাহরণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে এবং পরিণত পরিমাণে আল্লাহতালার আদেশ ও নিষেধ মেনে এবাদত পালন করতে হবে। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে ইবাদত সম্পর্কে সংজ্ঞা উদাহরণ ইত্যাদি জানানোর চেষ্টা করা হলো। 

দৈনন্দিন জীবনে মানুষ মহান আল্লাহর আদেশ যেমন সালাদ যাকাত পালন করা এবং নিষেধ যেমন সুদ ঘোষ বেপর্দা বেহায়াপনা ইত্যাদি পরিহার করে চলাকে ইবাদত বলে । 

তেমনিভাবে নবী ও রাসুলের দেখানো পথ অনুযায়ী একে অপরের সাথে উত্তম আচার-আচরণ করা ও ইবাদত। মূলত ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর আনুগত্য ও দাসত্ব প্রকাশ করা যায়। ইয়ারি মধ্যে রয়েছে মানুষের কল্যাণ ও নিহিত। 

এজন্যই প্রতিটি মানুষের ইবাদত কাকে বলে ইবাদত শব্দের অর্থ কি ইবাদতের সংজ্ঞা ও উদাহরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করার প্রয়োজন। 

সমবায় ব্যবস্থা কীভাবে অপরকে সক্রিয় হতে শেখায় ব্যাখ্যা কর (2)
সমবায় ব্যবস্থা কীভাবে অপরকে সক্রিয় হতে শেখায় ব্যাখ্যা কর (2)

বাদত কাকে বলে

ইবাদত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো চূড়ান্তভাবে দীনতা হীনতা অভিনয় প্রকাশ করা এবং নমনীয় হওয়া। আর ইসলামের পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজকর্মী আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান মেনে চলা কে ইবাদত বলে।

আল্লাহতায়ালা আমাদের সৃষ্টি করে এই পৃথিবীতে সহজ ভাবে জীবন যাপন করার জন্য অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন।আমরা আল্লাহ তাআলার বান্দা। তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা আমাদের কর্তব্য। 

এছাড়াও পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন যে জিন ও মানব জাতিকে আমি আল্লাহ আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। আমরা পৃথিবীতে যত ইবাদতই করি না কেন সকল ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হলো মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।

আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইসলামিক পরিভাষায় জীবন আপনের জন্য আমরা যে সকল কাজকর্ম করে থাকি এবং আল্লাহতালা যে সকল কাজকর্ম করার বিধি-বিধান দিয়েছেন যা আমরা মেনে চলি ওই সকল কিছুকে ইবাদত বলে। 

আরো পড়ুন: হালাল শব্দের অর্থ কি

ইবাদতের সংজ্ঞা ও উদাহরণ

মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির তথা মুসলমানদের উপর যে সকল আদেশ ও নিষেধ বিধি-বিধান ইত্যাদি প্রেরণ করেছেন এবং সেগুলো মেনে চলতে আদেশ দিয়েছেন এবং খারাপ যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন ওই সকল কাজ যথাযথভাবে পালন করাকে ইবাদত বলে। 

উদাহরণ :- ইবাদতের অন্যতম উদাহরণ হল প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আল্লাহতালা সৃষ্টি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হল বিবেক-বুদ্ধি ও জ্ঞানের। 

যদি মানুষ সে বিবেক বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়ে আল্লাহর এবাদত করতে না পারে তাহলে সে চতুষ্পদ জন্তু কিংবা তার চেয়েও অধম হয়ে যায়। 

উদাহরণ :- সালাত আদায় করার পর তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে ব্যবহৃত হবে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করবে। যাতে তোমরা সফলকাম হও। 

আমরা আলো ও তার রাসূল সাঃ এর প্রদর্শিত পন্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করলে পরকালে আল্লাহ আমাদের পুরস্কৃত করবেন। ফলে দুনিয়া ও আখেরাতে আমরা শান্তি পাবো। 

মহান আল্লাহতালার যে সকল আদেশ-নিষেধ এবং যে সকল কাজ করার জন্য আমাদেরকে বলেছেন ওই সকল কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করা কে  ইবাদত বলা হয়। 

ইবাদত কাকে বলে ইবাদত শব্দের অর্থ কি ইবাদতের সংজ্ঞা ইবাদত এর উদাহরণ ইত্যাদি সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত জানানো হলো। 

ইবাদত সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানা ছিল তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে যদি জানতে পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *