অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে

অনবায়নযোগ্য শক্তি: অধিকাংশ যানবাহনে চলাচল করে অনবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োগের ফলে। সাধারণত যানবাহনের গ্যাস বা তেল খরচ অথবা পেট্রোলিয়ামের খরচ নবায়নযোগ্য শক্তির হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে সেগুলো ওদের পরিমাণে খরচ করা হয়,,,

অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে

কিছু শক্তি রয়েছে যে সকল শক্তিকে একবার ব্যবহার করলে তা শেষ হয়ে যায় এই শক্তিকে পরবর্তীতে পুনরায় আর ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায় না।এ সকল শক্তিকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়।

অনবায়নযোগ্য শক্তি কোনটি

অনবায়নযোগ্য শক্তি হল এক ধরনের জ্বালানি শক্তি।  এ শক্তি ব্যবহারের ফলে ক্রমে এর মজুদ কমতে থাকে এবং এ শক্তিকে নবায়ন করা যায় না।

অনবায়নযোগ্য শক্তি যা খুব সহজেই বা তাড়াতাড়ি নিঃশেষ হয়ে যায় তবে,  তা তৈরি হতে আজীবন লেগে যায়। পাশাপাশি ওয়ানবায়নযোগ্য শক্তির পরিমাণ সীমিত থাকে যার ফলে এক পর্যায়ে তা নিঃশেষ হয়ে যায়।

অনবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ

নিউক্লিয় শক্তি, তার মধ্যে হলো ইউরেনিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল, কয়লা, ইত্যাদি হলো অনবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম উদাহরণসমূহ। এছাড়াও রয়েছে পারমাণবিক শক্তি।

অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কি কি

অনবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম উৎস হলো প্রাকৃতিক গ্যাস মিথেন এর শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ পার্সেন্ট পাওয়া যায় প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে।

নিম্ন  স্ফুটনাঙ্ক এর হাইড্রোজেন বাষ্প পাম্প সহ, মিথেন, ইথেন, বিউটেন, ইত্যাদি প্রাকৃতিক গ্যাস সমূহ থেকে উদ্ভূত লাভ করে।এদেশে শতকরা মিথেন এর পরিমাণ প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে আসে 95থেকে 99 শতাংশ।

ভূগর্ভের অণুতে বা পরমাণু সময়তে কার্বনকে অবিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় পরবর্তীতে তাকে শুদ্ধ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।

প্রাচীনকালে যে সকল বৃক্ষসমূহ মাটির নিজের দীর্ঘদিন যাবত চাপও পড়েছিল বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে সে সকল বৃক্ষ থেকে মূলত তৈরি হয়েছে কয়লা সমূহ অথবা কয়লার খনি।

পেট্রোলিয়াম অর্থাৎ হাইড্রোজেনের মিশ্রনের পেট্রোলিয়ামকে অবিশুদ্ধ অবস্থা থেকে বিশুদ্ধ তেলে পরিণত করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ন্যাপথলিন, কেরোসিন, ডিজেল ইত্যাদি সমূহকে অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বলা হয়।

তবে অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সমূহ হলো :

  • বায়ু,,,,
  • পানির স্রোত,,,,
  • সৌরশক্তি,,,,
  • কয়লা,,,,

অনবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা কি কি

দাম এবং প্রাচুর্যের বিবেচনা করে অনবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা রয়েছে।

তবে অনবায়নযোগ্য শক্তির সাহায্যে তা ব্যবহার করলে তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণ খরচ হয়।

অনবায়নযোগ্য শক্তির সস্তা হওয়ায় কম পরিমাণ খরচে অধিক পরিমাণ অনবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবহারযোগ্য গড়ে তোলা যায় এবং ব্যবহার করা যায়।

বর্তমান সময়ে বিশ্বে অথবা আমাদের দেশে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় পুরনীয় হয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় অনবায়নযোগ্য পদ্ধতিতে।

অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে
অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে

অনবায়নযোগ্য সম্পদ কাকে বলে

যে সকল সম্পত্তি প্রয়োজনীয় কাজী একবার ব্যবহার করা হলে তা পুনরায় আর ব্যবহার করা যায় না,

এবং যে সকল সম্পদ গুলোকে একবার ব্যবহারের ফলে তা নিঃশেষ হয়ে যায়, সে সকল সম্পদকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলা হয়।

অনবায়নযোগ্য সম্পদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ ও রয়েছে যেগুলোর প্রাচুর্যতা বা চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

অনবায়নযোগ্য সম্পদ কি কি

যে সকল সম্পদ গুলোকে ব্যবহার করার ফলে তা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা নিঃশেষ হয়ে যায় সেগুলোকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলা হয়।

অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, উৎপাদিত খনিজ তেলসমূহ, এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে অথবা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত নিউক্লিয়ার সমূহ।

এছাড়াও ব্যাস কিছু অনবায়নযোগ্য সম্পদ রয়েছে তবে বহুল ব্যবহৃত অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে হল প্রাকৃতিক গ্যাস,, প্রাকৃতিক গ্যাস একসময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবার কয়লা থেকে কার্বন উৎপাদনের মাধ্যমে কয়লা কে পরিশুদ্ধ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একইভাবে পেট্রোলিয়ামসহ বিভিন্ন জ্বালানি ক্ষেত্রে অনবায়নযোগ্য সম্পর্কে ব্যবহার করা হয়।

নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে

নবায়নযোগ্য শক্তি : যে সকল শক্তি সমূহকে ব্যবহার করার ফলে তা নিঃশেষ হয়ে যায় না বা নি:শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই সেই সকল শক্তি সমূহকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়।

নবায়নযোগ্য শক্তিকে একবার ব্যবহার করার ফলে তা পুনরায় আবার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য শক্তি বারবার ব্যবহারযোগ্য।

অনবায়নযোগ্য শক্তি : যে সকল শক্তি সমূহ কি একবার ব্যবহার করার ফলে তা নিঃশেষ হয়ে যায় বা নিঃশ্বাস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সকল শক্তি সমূহকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলা হয়।

অনবায়নযোগ্য শক্তি সমূহকে একবার কোন কাজে বা কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করার ফলে তা আর পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।অর্থাৎ অনবায়নযোগ্য শক্তিসমূহ মাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য।

আরো পড়ুন: পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে

নবায়নযোগ্য শক্তি ও অনবায়নযোগ্য শক্তির পার্থক্য

নবায়নযোগ্য শক্তি সমূহকে  পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলা যায় এবং তা ব্যবহার করা যায়, তবে অনবায়নযোগ্য শক্তি সমূহকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় না বা ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলা যায় না।

নবায়নযোগ্য শক্তি এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির একটি বড় পার্থক্য হলো ইহা। এছাড়া রয়েছে উৎপাদন খরচ, নবায়নযোগ্য শক্তিকে উৎপাদন করতে বিপুল পরিমাণ খরচ হয় তার তুলনায় অনবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ কম হয়।

নবায়নযোগ্য শক্তির প্রাচুর্যতা কম তবে অনবায়নযোগ্য শক্তির প্রাচুর্যতা বেশি রয়েছে। মানব স্বাস্থ্যের উপকারের দিক দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *