রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে ? রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার
রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে: বিভিন্ন প্রকার জ্বালানি সমূহ কে পড়িয়ে তা থেকে তাপ শক্তি অথবা যান্ত্রিক শক্তি উৎপাদন করা হয়। যার ফলে পরিবেশের সাথে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।
তাপ শক্তি কাকে বলে
ভাবে বলতে গেলে তাপ দ্বারা উৎপন্ন শক্তিকে তাপ শক্তি বলা হয়। তবে, স্টিম ইঞ্জিন কে তাপ ব্যবহার করার ফলে যে শক্তি উৎপন্ন করা হয় তাকে তাপ শক্তি বলা হয়।
প্লাটিনামের ক্ষেত্রে যে সরু তার ব্যবহার করা হয় তাপ শক্তির ফলে অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে কার্যকারিতা বহন করে।
রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে
রাসানিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদানের বিক্রিয়ার ফলে যে সকল শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে রাসায়নিক শক্তি বলা হয়। চুনের সাথে পানি মিশানোর উপরে যে বিক্রেতা উৎপন্ন হয় তা একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।
রাসায়নিক শক্তি কি
সকল রাসায়নিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফলে শক্তি উৎপাদন হয় তাই সাধারণত রাসায়নিক শক্তি নামে পরিচিত।
ভিডিওতে রাখা যায় এরকম বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদানসমূহের মধ্যে ক্রিয়া অথবা বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার ফলে কখনো রাজনি শক্তির কখনো বা তাপ শক্তি উৎপন্ন হয় এ সকল উৎপন্ন শক্তি সমূহকে রাসায়নিক শক্তি বলে আখ্যা দেয়া হয়।
রাসায়নিক শক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব
ফলে মানুষের গ্রহণযোগ্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমূহের পরিমাণ এর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ সমূহ গলে পৃথিবীর বিশাল বিশাল অংশসমূহ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
পাশাপাশি ফটোকেমিক্যাল স্মোগ তৈরি করার ফলে বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের লেয়ারে প্রভাব ফেলছে এবং পাশাপাশি গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে পরিবেশের ক্ষতি সৃষ্টি হচ্ছে।
সূর্যের আলোতে অতীত বেগুনি রশ্মির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে যা মানুষের ত্বকের ক্ষতি করছে।
রাসায়নিক শক্তির উদাহরণ
আমরা জানি, কয়লাতে কার্বন নামক রাসায়নিক উপাদানটি সঞ্চিত অবস্থায় থাকে। ফলে, কয়লা কে পুরানো হলে তা থেকে তাপ শক্তি এবং রাসায়নিক শক্তির উৎপন্ন হয়ে থাকে। যা, একটি রাসায়নিক শক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বা উদাহরণ।
বৈদ্যুতিক বিভিন্ন কোষের বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোষ সমূহ তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।বিভিন্ন উৎসবে বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে এগুলো রাসায়নিক শক্তি থেকে সরাসরি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: পদার্থ কাকে বলে
রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার
বিভিন্ন যানবাহনে পেট্রোল ব্যবহারের ক্ষেত্রে পেট্রোল সমূহকে জ্বলন্ত করে বা পুড়িয়ে ঐ শক্তিকে পরবর্তীতে যান্ত্রিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আলো সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম তার ব্যবহার করে আলো তৈরি করা হয়।ম্যাগনেশিয়াম তার কে দহন করার ফলে আলো উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে রাসায়নিক শক্তিকে সরাসরি আলো শক্তিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কয়লা পুড়িয়ে বিভিন্ন ইঞ্জিন তৈরি করার ক্ষেত্রে যান্ত্রিক হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা প্রথমে রাসায়নিক তারপর তাপশক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্নভাবে রাসায়নিক শক্তির ব্যবহার করা হয়ে থাকে।