ম্পিউটার কাকে বলে | কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য, আবিষ্কারক ও প্রকারভেদ
কম্পিউটার কাকে বলে: কম্পিউটার শব্দটি এসেছে আসলে গ্রিক শব্দ কম্পিউট থেকে। যার অর্থ হল গণনা করা বা গণনা করার যন্ত্র। বিভিন্ন তথ্য দিয়েও ইলেকট্রনিক কার্যক্রম সম্পাদনের এবং যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত একটি অন্যতম ডিভাইসকে কম্পিউটার বলা হয়।
বিভিন্ন ধরনের ইমপোর্ট করা ও কাজের আউটপুট করা পাশাপাশি ডাটা সংগ্রহ করার ডাটা সম্পর্কিত কাজ করা এবং সকল কাজ প্রক্রিয়া করা হয় এ যন্ত্রটির মাধ্যমে। অর্থাৎ প্রক্রিয়াকরণের একটি অন্যতম যন্ত্র হলো কম্পিউটার।
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা
কম্পিউটার ব্যবহার ব্যবহার করার মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করা সম্ভব হয়।
বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন হিসাব নিকাশ এবং কোম্পানির গণনা করার ক্ষেত্রসমূহে ভুল হয় এড়াতে কম্পিউটারের মাধ্যমে তা নির্ভুলভাবে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের মাধ্যমে শিক্ষা দান করা এবং একটি শিক্ষক একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ক্লাস নিলে বিশ্বব্যাপী সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যেন অংশগ্রহণ করতে পারে এরকম ব্যবস্থা করে গড়ে তোলা হয়েছে।
কম্পিউটার ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্পেয়ার সিটের কাজসমূহ এবং ওয়ার্ক এক্সেল এর কাজ করে বেকার ও লিখিত জনগোষ্ঠীর অর্থের অভাব লাগব হচ্ছে।
আধুনিক সুন্দর ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়নের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা এবং প্রয়োগ যারা অপরিহার্য ক্রমান্বয়ে জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা গড়ে উঠছে।
এর প্রয়োজনীয়তা মানুষ প্রথম দিকে টের পায়নি বা বুঝতে পারিনি তবে 2020 সালের করুনার সময় সমগ্র বিশ্বপীর লকডাউন থাকায় শিক্ষার্থীরা বাইরে যেতে না পারা এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছে। এবং তারপর থেকে ক্রমান্বয়ে এর বিকাশ ঘটেছে।
কম্পিউটার এর আবিষ্কারক কে
চার্লস ব্যাবেজ সর্বপ্রথম ইংরেজ বিজ্ঞানীটি কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। চার্লস ব্যাবেজ নামক নামক এই ইংরেজ বিজ্ঞানী গণিতে এবং ক্রমান্বয়ে কম্পিউটার আবিষ্কার করে সকলের কাছে জনপ্রতি লাভ করে।
১৮২২ সালে সর্বপ্রথম এই বিজ্ঞানী কিছু জটিল ও কঠিন কাজ কর্মের হিসাব মিলাতে না পারায় সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন।
পরবর্তীতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন এবং তা থেকে ক্রমান্বয়ে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করতে করতে একসময় কম্পিউটারের আবিষ্কার করা হয়।
কম্পিউটারের প্রকারভেদ
গঠন বৈশিষ্ট্য এবং কাজের সুবিধা অনুযায়ী কম্পিউটার কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
সেগুলো হলো :
১. এনালগ কম্পিউটার,,,
২. ডিজিটাল কম্পিউটার,,,
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার,,,,
এনালগ কম্পিউটার :
কম্পিউটারের নামক যন্ত্রের হার্ডডিস্ক ও বিভিন্ন কার্যকর সম্পাদন করা হয় এনালক পদ্ধতিতে। চলমান বিভিন্ন প্রকারের মডেম এর কাজের ভিত্তিতে ও সূচনা লগ্ন এটি সম্পাদন করা হয়।
ডিজিটাল কম্পিউটার :
এনালগ কম্পিউটারের তুলনায় উন্নত ও বহুল প্রযুক্তি ব্যবহৃত আধুনিক কম্পিউটার হলো ডিজিটাল কম্পিউটার। কে কম্পিউটার গুলোতে বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার না করে শুধুমাত্র বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির শুন্য এবং এক এই দুইটি ডিজিট বা অংক ব্যবহার করে সকল কাজ এবং কাজের হিসাব নিকাশ করা হয়।
হাইব্রিড কম্পিউটার :
বায়ুর চাপ কম্পিউটারের বিভিন্ন দক্ষতা সম্পর্কিত কাজসমূহ এবং আবহাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত জানার জন্য এনালগ কম্পিউটার এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে মাঝামাঝি এক ধরনের কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে যাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলা হয়।