মার্কেটিং বলতে কি বুঝায় কত প্রকার কি কি

মার্কেটিং হলো পণ্য বা পরিষেবার বিপণন এবং বিক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা, প্রচার, প্রচারণা, মূল্যনির্ধারণ এবং বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রক্রিয়ামূলক সমস্ত প্রক্রিয়া ও গবেষণার সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের অনুপ্রাণিত করার একটি ব্যবসায়িক পদ্ধতি।

মার্কেটিং বলতে কি বুঝায়।  মার্কেটিং কত প্রকার কি কি

মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় আলোচ্য কিছু প্রধান প্রকার আছে:

1.উৎপাদন ও পণ্যবিক্রয়: উৎপাদন ও পণ্যবিক্রয় মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় পণ্যের তৈরি ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি উৎপাদন পরিকল্পনা, মার্কেট রিসার্চ, উৎপাদন প্রচার, পণ্যবিক্রয় সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপকে উপশম করে।

2.মূল্যনির্ধারণ: মূল্যনির্ধারণে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এটি গ্রাহকের পরিচিতি, মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি নির্ধারণ করে।

3.প্রচারণা এবং প্রমোশন: এই প্রকারের মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় পণ্য বা পরিষেবা প্রচার ও প্রমোশন করা হয়। এটি বিজ্ঞাপন, সেলস প্রমোশন, পাবলিসিটি, মার্কেটিং সার্ভিস, মার্কেটিং কমিউনিকেশন এবং পাবলিক রিলেশনসহ প্রমোশনাল কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

4.বিপণন: বিপণন বা বিপণন পরিচালনা একটি মার্কেটিং প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় পণ্য বা পরিষেবা পৌঁছে দেয়া হয়। এটি বিপণন পরিকল্পনা, ডিস্ট্রিবিউশন পরিচালনা, বিপণন পরিচালনা, ব্রান্ডিং, মার্কেট সেগমেন্টেশন, রিটেল মার্কেটিং।

5.সামাজিক মার্কেটিং: সামাজিক মার্কেটিং হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সামাজিক উদ্দেশ্যে পণ্য বা পরিষেবা প্রচারিত হয়।

সামাজিক মার্কেটিং ক্যাম্পেইন যেমন স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, পরিবার পরিকল্পনা, পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা সচেতনতা সহ সামাজিক সমস্যার সমাধানে মার্কেটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

6.নিম্ন দলের মার্কেটিং: নিম্ন দলের মার্কেটিং হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অর্থায়নের অস্বাভাবিক বা সীমিত সম্পদে পণ্য ও পরিষেবা প্রদান করা হয়।

এটি অর্থনৈতিক পরিবেশে কর্মী ও দারিদ্র পরিবারগুলিকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে কর্মী অর্থনৈতিক পদে মধ্যবর্তী হিসাবে যোগ করে পণ্য প্রদান করে।

7.এফিলিয়েট মার্কেটিং: এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি পণ্য বা পরিষেবা প্রচার ও বিক্রয়ের পদ্ধতি যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রচারণা করে এবং প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় সংখ্যা অনুযায়ী কমিশন পেয়ে থাকে। এফিলিয়েট মার্কেটিং মাধ্যমে অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলিতে প্রচারিত লিঙ্ক বা ব্যানার ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানগুলি প্রচারণা করতে পারে।

8.নিঃশুল্ক মার্কেটিং: নিঃশুল্ক মার্কেটিং একটি মার্কেটিং প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবা বিনিময় নেই এবং প্রতিষ্ঠান কোনও প্রাপ্য মূল্য চার্জ করে না। নিঃশুল্ক মার্কেটিং সাধারণত নেতৃস্থানীয় ওয়েবসাইটগুলি এবং সামাজিক মাধ্যমে কাজ করে যা গ্রাহকদের আকর্ষণ করে এবং সংস্পর্শ প্রতিবেশ করার মাধ্যমে আয়োজন করে।

মার্কেটিং কি | মার্কেটিং কাজ কি

মার্কেটিং একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যা পণ্য বা পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে গ্রাহকদের আকর্ষণ ও বিশ্বাস জনিত করে। মার্কেটিং প্রক্রিয়াগুলি পণ্য বা পরিষেবা নিয়ে সম্পর্কিত গ্রাহকদের জ্ঞান আর বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ক্রয়ের উপর প্রভাব প্রদান করে।

মার্কেটিং কাজের মধ্যে অনেকগুলি কার্যক্রম রয়েছে, যেমন পণ্য বা পরিষেবার জন্য সার্ভে পরিচালনা করা, গ্রাহকদের জন্য মার্কেট রিসার্চ করা,

মার্কেটিং সংগ্রহ করা, পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় এবং প্রচারণা করা, গ্রাহকদের সাথে পরামর্শ ও সাপোর্ট প্রদান করা, ও ব্যবসায়ের লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ ও বৈপ্লবিক মার্কেটিং পরিকল্পনা করা নিচে আরও কিছু আলোচনা করা হলো:

1.মার্কেটিং সংস্থানের স্থাপন ও পরিচালনা: মার্কেটিং দক্ষ একটি দল গঠন করে সংস্থার মার্কেটিং প্রক্রিয়াগুলি পরিচালনা করে নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ ও বিপন্ন গ্রাহকদের পুনরায় আকর্ষণ করতে।

2.সামাজিক মার্কেটিং: এটি সামাজিক ও পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করার মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আপাততা সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, সামাজিক মার্কেটিং কার্যক্রম মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান সামাজিক সমস্যার সমাধানে অবদান রাখতে পারে এবং গ্রাহকদের পক্ষে সামাজিক উপকারপ্রাপ্তির মাধ্যমে মার্কেটিং প্রভাব প্রদান করতে পারে।

3.সাম্প্রতিক প্রযুক্তির ব্যবহার: ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে গ্রাহকদের সংগ্রহ করা, পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করা, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্রচার করা এবং সাম্প্রতিক মার্কেটিং প্রযুক্তিগুলির মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।

4.মার্কেটিং আইডিয়ার তৈরি ও পরিচালনা: সংস্থার মার্কেটিং দল বা টীম মার্কেটিং আইডিয়ার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এটি উপযুক্ত মার্কেটিং পরিকল্পনা ও ক্যাম্পেইন তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপায় ও রচনাসহ অন্যান্য সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা করে।

5.গ্রাহক সম্পর্ক পরিচালনা: গ্রাহকের সংগ্রহ, তথ্য পরিচয়, গ্রাহকের পছন্দ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য গ্রাহক সম্পর্ক পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (CRM) সফটওয়্যার, গ্রাহক পর্যালোচনা এবং গ্রাহকের জন্য বিশেষ অফার ও বোনাস প্রদান সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে।

6.প্রমোশন ও সেলস প্রমোশন: প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন এবং সেলস প্রমোশন পরিচালনা করে গ্রাহকদের পণ্যের উপর আকর্ষণ ও ক্রয়মূল্যে বৃদ্ধি করা হয়। বিশেষ ছাড় অফার, মুদ্রণী মাধ্যমে প্রমোশনাল পণ্য প্রচার করা, ইভেন্ট ও প্রদর্শনীতে প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন প্রদান সহ 

সন্নিহিত বাহু কি সন্নিহিত বাহু কাকে বলে (1)
সন্নিহিত বাহু কি সন্নিহিত বাহু কাকে বলে (1)

বাজ মার্কেটিং কি

বাজ মার্কেটিং হল একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যা ব্যবসায়ীদের বিপণন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি কার্যপ্রণালী যা ব্যবসায়িক প্রমোশন এবং বিপণন পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসায়ের পণ্য এবং পরিষেবার বিক্রয় বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয়।

বাজ মার্কেটিং অনেকগুলি পণ্য এবং পরিষেবা বিক্রয়ের মাধ্যমে কাস্টমারদের আকর্ষণ জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, এটি সাধারণত ছোট মূল্যের পণ্যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পন্ন হয়। বাজ মার্কেটিং বিভিন্ন পণ্য বা পরিষেবা উপাদানের সাথে সম্পর্কিত পর্যায়ক্রমে পরিচালিত হয়, যা আকর্ষণীয়তা এবং মূল্যের প্রস্তাবনা করে।

বাজ মার্কেটিং একটি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া যা ব্যবসায়ীদের পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয়ে সাহায্য করে এবং উচ্চ আগ্রহ তৈরি করে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করা হয়। নিম্নলিখিত কিছু প্রকার বাজ মার্কেটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়:

1.মূল্য কাটাকুটি: বাজ মার্কেটিং এ  মূল্য কাটাকুটি ব্যবহার করে পণ্যের মূল্য কমিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণ জানানো হয়। এটি সাধারণত বিশেষ কার্যকর ব্যবসা উদ্যোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।

2.অফার এবং ছাড়: বাজ মার্কেটিংয়ের  অফার এবং ছাড়ের ব্যবহার করে গ্রাহকদের আকর্ষণ জানানো হয়। এটি সাধারণত সময়সীমিত বা পূর্ব-নির্ধারিত পরিমাণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

3.পণ্যের মার্কেটিং সংস্থান: বাজ মার্কেটিংয়ের  পণ্যের প্রচার করার জন্য বিভিন্ন মার্কেট সংস্থান করা হয়।

4.পণ্যের প্রদর্শন ও আকর্ষণীয় প্যাকেজিং: বাজ মার্কেটিংে পণ্যের প্রদর্শন ও আকর্ষণীয় প্যাকেজিং ব্যবহার করে গ্রাহকদের আকর্ষণ জানানো হয়। চমৎকার প্যাকেজিং, মজবুত ব্র্যান্ডিং এবং সম্পূর্ণ প্রদর্শন সহ পণ্যটির মার্কেটিং প্রচারে ব্যবহৃত হয়।

5.মাল্টিমিডিয়া মার্কেটিং: বাজ মার্কেটিংে মাল্টিমিডিয়া প্রচার ব্যবহার করা হয়, যা ভিডিও, ছবি, অডিও, পোস্টার, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

6.সামাজিক মাধ্যম মার্কেটিং: সামাজিক মাধ্যমের প্রচার ব্যবহার করে বাজ মার্কেটিং করা হয়। সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে ব্র্যান্ড প্রমোশন করে।

7.নীচ মার্কেটিং: এটি হল একটি প্রযুক্তি যেখানে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমূলক গ্রুপের সাথে নির্ধারিত করে কাজ করে। পণ্য এবং বিপণন পরিষেবা সম্পর্কিত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সমাধানে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়।

8.ভাইরাল মার্কেটিং: ভাইরাল মার্কেটিং হল একটি প্রযুক্তি যা সাধারণত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যাপক প্রচার এবং শেয়ারযোগ্যতা উপজ্ঞায়িত করে। এটি আকর্ষণীয় এবং মজার কন্টেন্ট প্রস্তুত করে যা ব্যবহারকারীদের আগ্রহ জাগানোর জন্য সহায়তা করে।

মার্কেটিং এর জনক | মার্কেটিং এর জনক কে

মার্কেটিং এর জনক হলেন ফিলিপ কটলার. ফিলিপ কটলার হলেন একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী এবং ইউনাইটেড স্টেটস অফ অ্যামেরিকার প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি মার্কেটিং বিজ্ঞানের পিতা হিসেবে পরিচিত এবং অনেকগুলি কতিপয় মার্কেটিং প্রক্রিয়ার মানসিকতার প্রবীণতা তৈরি করেন।

ফিলিপ কটলারের মাধ্যমে মার্কেটিং বিজ্ঞানের মূল ধারা এবং প্রক্রিয়াগুলি তৈরি হয়েছে। তিনি মার্কেটিং বিষয়ে মূলত চারটি প্রবৃত্তি নিয়ে কাজ করেন, যা হলো পণ্য, দাম, প্রচার এবং স্থান। এছাড়াও তিনি নতুন এবং আমার্জিং ধারাগুলির ব্যাপারে বিশেষ দক্ষতা রাখেন।

ফিলিপ কটলারের মূল কাজের মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো “বাজার মনে করা” বা “বাজার সম্প্রদায়”। এই ধারাটি বলতে চাইল কিভাবে একটি পণ্যর প্রসার করা হয়।

ফিলিপ কটলার পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন জামেস কটলার, যিনি মার্কেটিং মেশিন কনসেপ্টের জনক হিসেবে পরিচিত।

তিনি মার্কেটিং বিজ্ঞানের আধুনিক বিশ্বাসহীনতা এবং আবিষ্কারের মাধ্যমে একটি নতুন ধারা উদ্ভাবন করেন। জামেস কটলার প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে মার্কেটিং প্রক্রিয়াকে সহজতর ও কার্যকরী করতে তার যোগদান দিয়েছিলেন।

এছাড়াও, জামেস কটলার পরিবারের ব্যক্তিগত অংশ সাধারনত মার্কেটিং বিজ্ঞানে গভীর করে যাওয়ার জন্য পরিচিত। তাঁর মাধ্যমে মার্কেটিং প্রক্রিয়াগুলির নতুন ও আগ্রহী ধারা বিকাশ হয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের মার্কেটিং কার্যক্রমে একটি পরিবর্তন এনেছে।

মার্কেটিং ও সেলস এর পার্থক্য

মার্কেটিং এবং সেলস দুটি পরিপূর্ণভাবে পৃথক পরিচিতির ধারণা দেয়। এই দুটি পদ ব্যবহার হয় ব্যবসায়িক প্রচারণা এবং বিক্রয়ের পক্ষে তাদের প্রধান কার্যকারিতা প্রদর্শনের জন্য।

মার্কেটিং হলো একটি ব্যবসায়িক পদক্ষেপ যা কোনও পণ্য বা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বা ব্র্যান্ড এর দ্বারা বাজারে তুলে ধরে। এর উদ্দেশ্য হলো কাস্টমারদের ব্যাপারিক আবশ্যকতা ও পছন্দ অনুযায়ী পণ্য বা পরিষেবা সরবরাহ করা।

মার্কেটিং ক্যাম্পেইন, বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ডিং, বিপণন, মার্কেট রিসার্চ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি মার্কেটিং কার্যক্রমের অংশগুলি হলো। এটি বিভিন্ন কর্মস্থলে ব্যবহার করা হয়, যেমন ব্যবসায়িক সংস্থা, সরকারী সংস্থা, অপরিচালিত সংগঠন, অথবা নেতৃত্বে নির্ধারিত সাধন করে।

সেলস, অন্যভাবে উদ্যোগ, বিক্রয় বা পণ্য বিপণন হলো একটি ব্যবসায়িক পদক্ষেপ যা পণ্য বা পরিষেবা কে সরাসরি গ্রাহকদের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে।

সেলস দল বা বিক্রয় দল সাধারণত সম্পাদিত হয় ব্যবসায়িক সংস্থা বা ব্র্যান্ডের অংশ হিসেবে, এবং তারা কাস্টমারদের কাছে পণ্যের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণ করে, উচ্চারন ও অফার বিনিময় করে এবং পণ্যের বিক্রয় পূর্বসংগ্রহ নিশ্চিত করে।

সেলসম্যান বা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক উন্নত করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড কে বিশ্বস্ততা দিয়ে থাকে। সেলস কার্যক্রম সাধারণত আলোচনা, বর্ণনা, বিপর্যয়, পরামর্শ এবং সম্পর্ক গঠনের মাধ্যমে চলতে থাকে।

মার্কেটিং এবং সেলস দুটি পদের মধ্যে একটি পার্থক্য হলো কার্যকারিতা ও লক্ষ্যগত দৃষ্টিভঙ্গি। মার্কেটিং প্রধানতঃ প্রচারণামূলক একটি পদক্ষেপ,

যার মাধ্যমে কোনও পণ্য বা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বা ব্র্যান্ড তাদের লক্ষ্যগত কাস্টমারদের মধ্যে পরিচিতি করে তোলে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।

মার্কেটিং কর্মকাণ্ডগুলি প্রযোজ্য মার্কেটিং পরিকল্পনা, পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় পরিচালনা, বিজ্ঞাপন, বিপণন, ব্র্যান্ডিং, মার্কেট রিসার্চ, ডিজিটাল মার্কেটিং, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা ইত্যাদি। মার্কেটিং দ্বারা সংগঠনগুলি তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রকাশ এবং মার্কেটে প্রচার করে তাদের লক্ষ্যমূলক কাস্টমারদের সঙ্গে একটি সম্পর্ক উন্নত করে।

মার্কেটিং পলিসি
মার্কেটিং পলিসি

মার্কেটিং এর কৌশল

মার্কেটিংয়ের সাফল্য অর্জনের জন্য কৌশলগুলি নিম্নলিখিত দেওয়া হলো:

1.লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনার মার্কেটিং প্রচেষ্টার আগে করণীয় হচ্ছে পরিষ্কার লক্ষ্য নির্ধারণ করা। আপনি যে সম্পদ, পণ্য বা সেবা প্রদান করতে চান তা পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করুন। সুসংহত লক্ষ্য একটি নির্দিষ্ট গ্রাহকদের উপর কেন্দ্রিত থাকতে পারে বা একটি নির্দিষ্ট বিপণন পরিক্রমায় থাকতে পারে।

2.পাবলিক সম্পর্ক গড়ুন: একটি ভালো পাবলিক সম্পর্ক প্রাপ্তি মার্কেটিং প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কোম্পানির সাথে মোটামুটি বিপণন গুণগত সম্পর্ক গড়ুন এবং গ্রাহকের সমর্থন প্রাপ্ত করার জন্য সুযোগ তৈরি করুন। সামাজিক মাধ্যম, ব্যক্তিগত সম্পর্ক গঠন, ইভেন্ট আয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি একটি কৌশল সৃষ্টি করে।

3.গ্রাহকদের জ্ঞান এবং প্রয়োজনীয়তা বোঝান: আপনার গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা এবং জ্ঞান সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এটি আপনাকে আপনার পণ্য বা সেবা যেমন পরিবর্তনশীল করতে সাহায্য করবে এবং আপনার গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিপণন পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। গ্রাহকদের সাথে পরিচয় করানো এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা ও পছন্দ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা পাওয়া এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

4.সঠিক নীতি ও পদ্ধতি ব্যবহার করুন: মার্কেটিং পরিক্রমার জন্য সঠিক নীতি এবং পদ্ধতি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত মার্কেটিং পরিকল্পনা, প্রচার-প্রচার কর্মসূচি, মূল্য নির্ধারণ, পণ্য প্রদানের উপর ভিত্তি করে নিয়মিতভাবে সঠিক নীতি করে।

5.প্রভাবশালী বিপণন প্রচার করুন: আপনার পণ্য বা সেবা প্রচারে প্রভাবশালী বিপণন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাধ্যম বাছুন যা আপনার লক্ষ্যগুলি সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।

এটি মার্কেটিং পরিকল্পনার মাধ্যমে টিভি বিজ্ঞাপন, রেডিও বিজ্ঞাপন, প্রিন্ট মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইট প্রচার ইত্যাদির মাধ্যমে হতে পারে। বিপণন প্রচারে উপযুক্ত মাধ্যম বেছে নিতে হবে যাতে আপনার কাছে আপনার লক্ষ্যগুলি সম্পন্ন করার সম্ভাবনা থাকে।

6.গ্রাহকদের সাথে সম্প্রদায়িকতা গড়ুন: মার্কেটিং পরিচালনায় গ্রাহকদের সাথে সম্প্রদায়িকতা গড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটি সম্প্রদায় বাণিজ্যিক সামগ্রীর আদানপ্রদান করেন বা সেবা প্রদান করেন তাদের সাথে সম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করায়।

7.প্রতিযোগিতামূলক আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করুন: আপনার পণ্য বা সেবা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অবস্থিত থাকবে। একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনি আপনার কৌশলগুলি ব্যবহার করে গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে পারেন।

পণ্যের মান, মূল্য এবং পরিষেবা সর্বোচ্চ স্তরে রাখতে হবে। আরও ভালো গ্রাহক সেবা প্রদানের জন্য আপনি কাস্টমার সন্তুষ্টিকর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করতে পারেন।

8.সম্পর্ক গঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা করুন: মার্কেটিং সাফল্যের জন্য গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহকদের জন্য একটি মার্কেটিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি তাদের সাথে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব গড়তে পারেন।

মার্কেটিং পলিসি

মার্কেটিং পলিসি হল একটি পরিকল্পনা ও নির্ধারণের সেট, যা একটি কোম্পানি বা সংস্থার উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, নীতি ও পদক্ষেপের সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং কোম্পানির ব্যবসায়িক লক্ষ্য ও লক্ষ্যগুলির সাথে মিল খাতে সাহায্য করে।

এটি কোম্পানির মার্কেটিং কর্মক্রমের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় এবং সংস্থার সঠিক মার্কেটিং মাধ্যম এবং সাধারণ পদক্ষেপ নির্ধারণ করে।

মার্কেটিং পলিসির উদ্দেশ্য হল নিম্নলিখিত কিছু মূল ক্ষেত্রে কোম্পানির কার্যক্রম নির্ধারণ করা:

১. সঠিক নীতি ও পদক্ষেপ নির্ধারণ করা: এটি কোম্পানির নীতি ও পদক্ষেপগুলির সমন্বয় নিশ্চিত করে যা কোম্পানির লক্ষ্যের সাথে মিল খাতে সাহায্য করে।

২. লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা: মার্কেটিং পলিসি কোম্পানির লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নির্ধারণে সহায়তা করে।

৩. প্রমোশনাল কার্যক্রম: এটি পণ্য বা পরিষেবাগুলির প্রচার এবং বিপণনের পরিকল্পনা করে। এটি বিভিন্ন প্রচারণা মাধ্যমের নির্বাচন, বিজ্ঞাপন, উপহার প্রদান, ডিসকাউন্ট অফার ইত্যাদি নির্ধারণ করে।

৪. মূল্য নির্ধারণ: মার্কেটিং পলিসি কোম্পানির জন্য মূল্য নির্ধারণ সম্পন্ন করে। এটি পণ্যের মূল্য সংজ্ঞায়িত করে এবং প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে।

৫. বিপণন চ্যানেল: এটি কোম্পানির পণ্যের বিপণন চ্যানেলগুলির নির্ধারণ করে। এটি বিভিন্ন বিপণন চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্যগুলি গ্রাহকদের সাথে সংযোগ করার উপায় নির্ধারণ করে।

৬. মার্কেটিং সংগঠন: মার্কেটিং পলিসি কোম্পানির মার্কেটিং সংগঠন এ সহায়তা করে।

৭. গ্রাহক সংক্রান্ত নীতিমালা: মার্কেটিং পলিসি সংগঠনের কাছে গ্রাহকদের সন্তুষ্টিকর করার জন্য গ্রাহক সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। এটি গ্রাহকের নীতিমালা, সমস্যা সমাধান এবং গ্রাহক সেবার নির্দেশাবলী নির্ধারণ করে।

৮. পণ্য ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট: মার্কেটিং পলিসি কোম্পানির পণ্য এবং ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের নীতিমালা সংগঠন করে। এটি পণ্যের গুণমান, ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি, উন্নয়ন এবং প্রচারণার জন্য নির্ধারণ করা হয়।

৯. মার্কেটিং রিসার্চ: মার্কেটিং পলিসি কোম্পানির মার্কেটিং রিসার্চ নীতিমালা সংগঠন করে। এটি বিভিন্ন মার্কেটিং ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে গ্রাহকের পছন্দ, প্রতিস্থাপিততা।

১০. প্রতিযোগিতামূলক নীতিমালা: এটি মার্কেটিং পলিসি কোম্পানির প্রতিযোগিতামূলক নীতিমালা নির্ধারণ করে। এটি কোম্পানির প্রতিযোগিতামূলক মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার নীতিমালা, প্রতিস্থাপন বা পণ্য পার্চেস এবং গ্রাহকের পূর্বাধারের জন্য পণ্য বিক্রয়ের নীতিমালা নির্ধারণ করে।

১১. সামাজিক দায়িত্ব: মার্কেটিং পলিসি কোম্পানির সামাজিক দায়িত্ব নীতিমালা সংগঠন করে। এটি কোম্পানির সামাজিক অবদানের জন্য নীতিমালা নির্ধারণ করে, যাতে কোম্পানির কর্মকাণ্ড সামাজিকভাবে উপযুক্ত হয় এবং সামাজিক স্থানান্তর বা সামাজিক সাম্প্রদায়িক সমর্থন করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *