নিউমোনিয়া কি? নিউমোনিয়া কেন হয়? এর সঠিক উপায়
নিউমোনিয়া কি
- মানুষের ফুসফুসে আক্রান্তকারী একটি জীবাণুর ফলে নিউমোনিয়া রোগ হয়।
- অর্থাৎ নিউমোনিয়া হলো ফুসফুস আক্রান্তকারী একটি রোগ।
- ফাঙ্গাস, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং টিবি রোগের জীবাণুর মাধ্যমে এ রোগ হয়ে থাকে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে এরূপ হওয়ার সম্ভাবনায় সবচেয়ে বেশি থাকে।
- সবচেয়ে বেশি দেখা যায় শীতকালে। ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে।
নিউমোনিয়া কেন হয়?
বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর আক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া রোগটি হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া অর্থাৎ বায়ু বাহিত তো ব্যাকটেরিয়া সমূহ এবং ভাইরাসের ফলে এ রোগটি হয়ে থাকে।
১. ট্যাক্সোপ্লাসম্ গণ্ডী,,,
স্ত্রোঙ্গিলইদেস স্তেরকরালিস,,,,
আস্কারিস লাম্ব্রিকইদেস,,,
ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পরজীবীর আক্রমণে নিউমোনিয়া রোগটি হয়।
২. হিসটোপ্লাসম কাপ্সুলাটাম,,,,
ব্লাসটোমাইসেস,,,,,
ক্রিপ্টোকক্কাস নিওফরমান্স,,,,,
ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকের মাধ্যমে কম পরিমাণ হলেও নিউমোনিয়া রোগটি হয়ে থাকে।
৩. অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের ফলে এরূপটি হয়ে থাকে।
একটু ভাইরা সমূহ হলো :
রাইনোভাইরাস,,,,
করোনা ভাইরাস,,,,,
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস,,,,,
রেস্পিরেটোরি সিঙ্কসাইটাল ভাইরাস,,,,,
আডেনো ভাইরাস,,,,
ইত্যাদি ভাইরাস গুলো দ্বারা দুর্বল ইমিউনিটির ফলে মুনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. মাইকোপ্লাজম নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ফুসফুসে নিউমোনিয়ার উক্তি আক্রমণ করে থাকে।
৫. বড়দের ক্ষেত্রে অনেক সময় অতিরিক্ত হাড়ে মদ পান করার ফলে নিউমোনিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬. হোল – হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা,,,,,
ক্লামিদোফিলিয়া নিউমোনিই,,,,,
লেজিওল্লা নিমফিলিয়া,,,,
মরাক্সেল্লা কাতারহালিস,,,,,
ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার ফলে নিউমোনিয়া রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন: বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
নিউমোনিয়ার সঠিক উপায়
নিউমোনিয়া রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় গুলো নিম্নে দেয়া হলো :
১. যেসব ব্যক্তিগুলো ধূমপান করে তাদেরকে ধূমপান অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
২. নিউমোনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে মাস্কের মাধ্যমে নাকও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
৩. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে খুব বেশি গুরুতর অবস্থা হলে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতে হবে।
৪.পুষ্টিকর খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৫. যথাসম্ভব ধুলোবালি এবং ধোয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
৬. সঠিক পদ্ধতিতে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে।
৮. পরের ক্ষেত্রে মাত্রা নিয়ন্ত্রণের রাখা।
৯. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কফ মেডিসিন ব্যবহার করা।
১০. নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সোপ জাতীয় বা তরল জাতীয় খাবার খাওয়া।
যথাযথ ভাবে শিশুদেরকে যত্নে রাখা।
কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুদের দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।