কৃষি শিক্ষা কাকে বলে? কৃষি শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

কৃষি কাকে: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শব্দকোষে অনুসন্ধান করলে পাওয়া যায়, বাংলা ভাষায় “কৃষক” শব্দটি কৃষি সাধারণ অর্থের মানে ব্যবহার হয়।

কৃষক হলো সে ব্যক্তি যা কৃষি বা কৃষি কার্যক্রম সম্পাদন করে। তারা মাটির ক্ষেত্রে কৃষি পণ্য উৎপাদন, পশুপালন, উদ্ভিদ চাষ এবং সংগ্রহ, পরিচর্যা এবং পরিবর্তন, এসব কাজগুলির জন্য প্রস্তুত থাকে।

কৃষকদের  দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যে অনেক দেশে কৃষি বিপন্ন ব্যবসায় স্বার্থপর উপকারে নিজেদের প্রশিক্ষণ করা হয়। সাধারণত এই কার্যক্রম জন্য কৃষকদের একাধিক তথ্য ও প্রয়োগ বিপ্লবী পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করে।

বিশেষ ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিগুলি কৃষিবিদদের উপদেশের সাথে মিশে কৃষকদের বাস্তব পরিস্থিতিতে ব্যবহার হয়।

কৃষকদের প্রধান কাজ হলো খাদ্য উৎপাদন করা এবং মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহ করা। তারা মাটি উপযুক্ত করে রাখার জন্য কৃষি জমি তৈরি করে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করে।

তাদের কাজের মধ্যে বীজ বপন করা, মাটি তৈরি করা, সার ব্যবহার করা, পরিচর্যা করা, রোপণ, পরিচর্যা, রোগ এবং কীটনাশকের ব্যবহার, পরিপাক এবং রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি রয়েছে।

এছাড়াও, কৃষকদের অন্যান্য কাজগুলির মধ্যে মাঠ প্রস্তুতি, পানি সরবরাহ, পরিবেশ সংরক্ষণ, বীজ ও জাতের তৈরি করা, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণন, পশু পালন এবং গরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ উৎপাদনের মাধ্যমে আরও অর্থ উৎপাদন ইত্যাদি থাকতে পারে।

কৃষি শিক্ষা কাকে বলে কৃষি শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য
কৃষি শিক্ষা কাকে বলে কৃষি শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

ই কৃষি কি

কৃষি হলো মাটি ব্যবহার করে উদ্ভিদ সংগঠনের একটি প্রক্রিয়া যা মানব খাদ্য ও অন্যান্য জীবিকার উৎপাদন করে। এটি জীবিত জীবনকে সমর্থন করে এবং মানব সমাজের প্রাথমিক প্রয়োজনগুলির একটি প্রধান উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়।

কৃষি মানবকে পুষ্টির প্রাথমিক উৎস সরবরাহ করে, বাণিজ্যিক কর্মসূচি সৃষ্টি করে, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মুদ্রণযোগ্য বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন করে।

কৃষি বিভিন্ন ধরণের পাষ্টরভিটা, সবজি, ফসল, মাছ, পোল্ট্রি, মশলা এবং অন্যান্য জীবিত জীবন উৎপাদনের সাথে জড়িত হতে পারে। এটি উদ্ভিদ প্রয়োগ, পানিপূর্ণতা ব্যবস্থাপনা, রোগ ও বালাই নিরাময়, ফসল পরিচর্যা, মাঠ পরিচর্যা এবং কৃষি পণ্যের উৎপাদন সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করে।

কৃষি একটি বিশাল বিজ্ঞানশাস্ত্রিক ক্ষেত্র এবং বিভিন্ন সাইকেল এবং পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের অধীনে কাজ করে।

কৃষির উদ্দেশ্য হলো খাদ্য উৎপাদন, কাঠ ও রেশমের জন্য মালচারণ, আগরতলা উৎপাদন, কারখানা ও কোল্ড স্টোরেজের জন্য বাস্তু পণ্য প্রস্তুতি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ, পরিবেশের সংরক্ষণ এবং পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন সহ বিভিন্ন কাজকর্মে মাটির সুস্থ ও উন্নত ব্যবহার নিশ্চিত করা।

কৃষি উদ্ভিদ সংগঠনের বিষয়বস্তুগুলি মাটির পুষ্টিকর কার্বন, পরিমাণগত ও সামগ্রিক পুষ্টি, পানিপূর্ণতা, জৈব নিয়ন্ত্রণ, জৈববাদ এবং উদ্ভিদ রোগ ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়

উদ্যান কৃষি কাকে বলে

উদ্যান কৃষি হল একটি কৃষি পদ্ধতি যেখানে ছোট পরিমাণের জমি বা অধিকাংশ মানুষের কাছে পাওয়া জমি ব্যবহার করে সবজি, ফল, ফুল ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়।

এটি ছোট পরিমাণের জমি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উদ্ভিদগুলির উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। উদ্যান কৃষির লক্ষ্য হল স্থান সীমিত জমিতে উপযুক্ত উদ্ভিদগুলি বাগানে বা ছাদবাগানে উৎপাদন করে খাদ্য ও বাণিজ্যিক প্রযুক্তির মাধ্যমে লাভজনক আয় উৎপন্ন করা।

1.পটভূমি উদ্যান কৃষি: এই পদ্ধতিতে বীজ দিয়ে বৃক্ষমূল বা বহুবীজগামী উদ্ভিদ একত্রিত করে চারা তৈরি করা হয়। এই চারা গোছানোর পর তা অভ্যন্তরীণ উদ্ভিদগুলিতে স্থাপিত হয়।

2.হাইড্রোপনিক্স: এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদগুলি জলপাত বা স্থানান্তর পদ্ধতিতে গভীর জলের মাঝে লাগানো হয়। জলের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর পদার্থ ও পানি সরবরাহ করে উদ্ভিদগুলির বৃদ্ধি সম্পন্ন করা হয়।

3.আধুনিক গ্রিনহাউস: এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদগুলির জন্য একটি বিশেষ গ্রিনহাউস তৈরি করে বিভিন্ন পার্টশাল জমি ব্যবহার করা হয়। গ্রিনহাউসে তাপমাত্রা, আলোক এবং আবশ্যক অক্সিজেন নিয়ন্ত্রিত রাখা হয় উদ্ভিদগুলির উচ্চ প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকে।

4.সন্ত্রাস উদ্যান কৃষি: এই পদ্ধতিতে পর্যায়ক্রমে উদ্ভিদগুলি গ্রামীণ এলাকার উন্নত কার্যক্রম ও পদার্থ সরবরাহের মাধ্যমে উদ্যোগী সংগঠনগুলির সাথে সহযোগিতা করে উৎপাদন করা হয়।

5.থার্মাল উদ্যান কৃষি: এই পদ্ধতিতে স্পেশালিস্ট উদ্ভিদগুলি একটি বায়োমাটিক সিস্টেম ব্যবহার করে বাগানে উত্পাদন করা হয়। এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদগুলি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা, আলোক ও বায়োমাস সরবরাহ পেতে থার্মাল উদ্যোগী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

6.পানি উদ্যান কৃষি: এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদগুলি জমির নিচে বা পানির উপর লেজে তৈরি হওয়া প্রতিষ্ঠানে বা নালা ব্যবহার করে উপাদান সরবরাহ পেতে সমর্থ হয়।

কৃষি কাজ কাকে বলে

কৃষি কাজ বলতে বুঝায় সম্পূর্ণ কৃষি সংক্রান্ত কার্যকলাপ, যা মাটি ও পুষ্টিকর পদার্থসমূহের ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করার জন্য করা হয়।

এই কাজে ধান, গম, পাট, তুলা, শসা, শলগম, বেগুন, আলু, মরিচ, পালং শাক, ডাল, ফল, সবজি এবং অন্যান্য ফসলগুলির চাষ ও দেখাশোনা করা।

উল্লেখযোগ্য অংশ হতে পারে। সাধারণত, কৃষি কাজ বৃষ্টির পরিমাণ, মাটির গুণমান, সারের ব্যবহার, রোগ ও কীটনাশকের ব্যবহার ইত্যাদি পরিচালনায় করা হয়।

নিচে কৃষি কাজ আলোচনা করা হলো:

1.মাটি উপযোগী করে ফসল চাষ ও প্রশিক্ষণ: সঠিক মাটির বিনিময়ে ফলনশীল ফসল চাষ করা হয়। এটি উপাদানগুলির মাটিতে উপস্থিতি ও প্রভাবের উপর ভিত্তি করে হয়। মাটির জলবায়ু, পানির সরবরাহ, সংকীর্ণতা, মাটির পারামর্শ, মাটির পরীক্ষা ইত্যাদি অন্যান্য কার্যক্রম মাটি উপযোগী করে করা হয়।

2.পুষ্টিকর সার ব্যবহার: উচ্চ ফলনের জন্য মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর সার প্রদান করা হয়। সারের পরিমাণ, প্রকার, প্রয়োগের সময়সূচী ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সার ব্যবহার করা হয়।

3.পোকা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ: ফসলগুলির পোকা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

4.বীজ নির্বাচন ও সংরক্ষণ: উচ্চ মানের বীজ নির্বাচন করে এবং এগুলি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এটি ফসলের বৃদ্ধি, বাজারের দাম ও পরিমাণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।

5.পানির পরিচর্যা ও ব্যবহার: জলাভৃত ফসলের জন্য উচিত পানির পরিচর্যা ও ব্যবহার করা হয়। এটি জলাভৃত ফসলের মাটির পানি সরবরাহ, পানিতে নামছে বাচ্চা করা, ইয়নি ব্যবহার, নিয়ন্ত্রণ ও বিপন্নতা পরিচালনায় করা হয়।

6.মাঠ সারিতে চাষ করা: পানিতে নামছে এবং পানির পরিচর্যা করা মাঠ সারিতে ফসল চাষ করা হয়। এটি সাধারণত ধান, গম, পাট, মশলা, সবজি ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়।

7.ফসল পরিচর্যা ও বিপন্নতা: ফসলের সঠিক পরিচর্যা করে তার বিপন্নতা প্রতিরোধ করা হয়।

8.ফসল পরিচালনা ও নির্যাতন: ফসলের মাঠে পরিচালনা ও নির্যাতন প্রয়োজনীয় হয়। এটি ফসলের প্রতিরক্ষা, বিপন্নতা এবং ভালমত ফলন নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়।

9.সংগ্রহ ও সংরক্ষণ: ফসলের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা হয়। এটি ফসলের মড়ানো, থাকানো, পরিষ্কার করা, ভরাট এবং উচিত ভাবে সংরক্ষণ করা ইত্যাদি কাজগুলির উল্লেখযোগ্য অংশ।

10.বীজ উৎপাদন ও গবেষণা: উন্নয়নশীল কৃষির জন্য বীজ উৎপাদন ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কৃষি কি | কৃষি তথ্য কী

কৃষি তথ্য বলতে  সাধারণত কৃষি সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কথা বলাকে বোঝানো হয়। কৃষি তথ্য অথবা কৃষি সংক্রান্ত তথ্য আমরা বুঝতে পারি

কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়গুলো যেমন ফসল চাষ, মাটির পরিমান ও মান, কৃষি প্রযুক্তি, পরিচর্যা ও রোগ প্রতিরোধ, কৃষি যন্ত্রপাতি, সার ও পেষ্টিসাইড, কৃষি বাজার ও বাজারজাতকরণ, কৃষি বিতরণ সিস্টেম, সাময়িক ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, পশুপাখি সম্পর্কিত তথ্য, কৃষি ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ ও সহায়তাসহ অন্যান্য সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে বলা যেতে পারে।

কৃষি তথ্য কী করে অ্যাক্সেস করা যায় বা সংগ্রহ করা যায় নিম্নলিখিত উৎসগুলো থেকে:

1.সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কৃষি বিভাগ: দেশের কৃষি বিভাগ বা সরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারি ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যাই।

2.বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য অন্তর্বাসী প্রতিষ্ঠান: বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য অন্তর্বাসী প্রতিষ্ঠানের কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও প্রকল্পের ফলাফল, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের তথ্য পেতে সংগ্রহ করা যায়।

3.কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান: কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান, গবেষণা প্রকল্প, প্রকল্পের ফলাফল, প্রযুক্তি ও নতুন উদ্ভাবন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

4.কৃষি ব্যবসায়ী সংগঠন: কৃষি সংগঠন বা সমিতির সাধারণত নিজস্ব তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ মাধ্যম থাকে। এগুলো অবশ্যই সংগঠনের নির্ধারিত মাধ্যম বা ওয়েবসাইট দ্বারা অ্যাক্সেস করা যায়।

5.অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইট: বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইট সম্প্রতি কৃষি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করছে। এগুলোতে কৃষি প্রযুক্তি, ফসল চাষ, পরিচর্যা, রোগ প্রতিরোধ, উদ্ভিদ জীবন চক্র, সার প্রযুক্তি, পেষ্টিসাইড ব্যবহার, বীজ উৎপাদন, খাদ্য উত্পাদন ও সংরক্ষণ, কৃষি বাজার এবং বাজারজাতকরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়।

6.সরকারি প্রকল্প ও অনুষ্ঠানের তথ্য: সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বারা সময়কালে কৃষি বিষয়ক প্রকল্প ও অনুষ্ঠান চালানো হয়। এই প্রকল্প ও অনুষ্ঠানের তথ্য সরকারি ওয়েবসাইট, প্রকাশনা এবং সংবাদপত্র দ্বারা অ্যাক্সেস করা যায়।

7.কৃষি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: কৃষি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্র থেকে কৃষি বিষয়ক তথ্য পাওয়া যাই।

কৃষি বিজ্ঞান কাকে বলে

কৃষি বিজ্ঞান হলো একটি বিজ্ঞান যা প্রাথমিকভাবে কৃষি এবং উন্নত খাদ্য উৎপাদনের প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগুলির প্রশ্নবিস্তার করে। এটি সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানের সাথে মিশে থাকে, যেমন পোষা বিজ্ঞান, সৃজনশীল বিজ্ঞান, বাস্তুবিদ্যা, মানবিক সম্প্রদায়ের বিজ্ঞান, বাণিজ্য বিজ্ঞান ইত্যাদি।

কৃষি বিজ্ঞানের প্রধান লক্ষ্য হলো উন্নত ফসল উৎপাদন ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে কৃষকদের সাহায্য করা।

কৃষি বিজ্ঞান কৃষকদের জন্য প্রযুক্তিগত, মানবিক, সামাজিক, আর্থিক ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সমস্যাদির সমাধান খুঁজে পাওয়ার জন্য পরামর্শ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে। এছাড়াও কৃষি বিজ্ঞান অনুসন্ধানের মাধ্যমে নতুন ফসল উৎপাদনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের উন্নত জাতের উদ্ভাবনের করা হয়।

কৃষি বিজ্ঞান একটি ব্রহ্মপ্রাণ বিজ্ঞান যা আমাদেরকে কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন দিকের জ্ঞান এবং সম্পূর্ণভাবে কৃষি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি বোঝার সুযোগ দেয়। এটি বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলির সমাধান করে এবং কৃষি উন্নতির জন্য নতুন পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি তৈরি করে।

কৃষি বিজ্ঞান বিষয়টি কৃষকদের বিভিন্ন দিকের জন্য সমর্থন ও সহায়তা প্রদান করে, যেমন ফসল প্রতিরক্ষা, উন্নত খাদ্য উৎপাদন, প্রাকৃতিক সম্পদ সরবরাহ, মাটি পরিপত্র এবং মাটিতে পুষ্টিমান সামগ্রীর বরাদ্দকরণ, বিশ্বস্ত পরিচর্যা,

বাজার এবং নগদ বিনিময়, জৈব কীটনাশক ও পদার্থবিদ্যাগুলির ব্যবহার, কৃষি মেশিন ও প্রযুক্তির ব্যবহার, সামাজিক ও আর্থিক সমস্যা সমাধান, পরিবেশ সংরক্ষন করে থাকে।

কৃষি শিক্ষার জনক কে

কৃষি শিক্ষার জনক হিসাবে বিখ্যাত ব্যক্তির মধ্যে অনেকেই উল্লেখযোগ্য। কিন্তু যে ব্যক্তি সাধারণত কৃষি শিক্ষা বা কৃষি বিজ্ঞানের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন এবং কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োগ ও প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দেন, তাকে কৃষি শিক্ষার জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

একজন বিখ্যাত কৃষি শিক্ষার জনক ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন কারভার। জর্জ ওয়াশিংটন কারভার (George Washington Carver) মূলত একজন আফ্রিকান-আমেরিকান বিজ্ঞানী ও মৌলিক রসায়ন বিজ্ঞ।

তিনি কৃষি বিজ্ঞানে অবদান রাখেন এবং বিশেষভাবে বাকার গম, পীয়াজ, মুলা, শিম, চিনাবাদাম ইত্যাদির উন্নয়নে গবেষণা করেন। তাঁর কাজের ফলে সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার বীজগুলি উন্নত হয়েছে, যা কৃষিকাজে উপযোগীতা ও আর্থিক সম্প্রদায়ে কাজ করছে।

1.নরমান বোরলগেজ (Norman Borlaug): নরমান বোরলগেজ একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী ছিলেন, যার অবদানের ফলে তৃণমূল, ধান এবং গম সহ বিভিন্ন ফসলের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি উত্তর আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকায় প্রয়োগকৃত বীজগুলির মাধ্যমে খাদ্য সৃষ্টি বৃদ্ধি করেন। তাঁর প্রচারিত মতে, তিনি “সবচেয়ে বড় খাদ্য বিপন্নতা নির্মূলনের সমর্থতা পেলেন”।

আরো পড়ুন: কৃষি কাজ কাকে বলে

2.নর্মান ইয়াকুব (Norman E. Borlaug): নরমান ইয়াকুব পণ্ডিত দেশের একজন পণ্ডিত এবং বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি উত্তর ভারতের কৃষি বিপন্নতা ও প্রজনন উন্নয়নে বিভিন্ন পরিযোজনাগুলি গবেষণা ও অবদান রাখেন। তিনি হাইব্রিড গম উদ্ভাবনে মাঝে মাঝে “বিশ্বের সাথে পরিচিত।

4.নরমান বর্লগ (Norman Borlaug): নরমান বর্লগ একজন আমেরিকান বায়োকেমিস্ট ও বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি গম, জউয়ার, এবং তৃণমূল উন্নয়নে মার্চস সম্মানিত হয়েছিলেন। বর্ষা সম্প্রদায়ে তাঁর গবেষণায় তৈরি হয়েছে হাইব্রিড জউয়ার বীজ, যা মৌলিক রসায়নিক উন্নয়নের একটি উদাহরণ।

5.নরমান উবডল (Norman Uphoff): নরমান উবডল একজন আমেরিকান কৃষি বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের খেতাব আলাউদ্দিন আহমেদ চায়ের কৃষি প্রয়োগকারী কৃষকদের সহযোগিতা করেছেন এবং সুস্থ জমিদের উন্নয়নের জন্য প্রয়োগকৃত সিস্টেমগুলির প্রশংসা পেয়েছেন।

6.নরমান বর্গিলস (Norman Borgrille): নরমান বর্গিলস একজন ফিনিশ বিজ্ঞানী কৃষি কাজে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *